শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানোর পর বিকেলে তার জামিন আবেদন করা হলে চীন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবির হোসেন জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জহুর মোল্লা (১৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় জহুরের চাচা মো. নুর আমিন মোল্লা বাদি হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসামি পক্ষের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করে। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী মেডিকেল সার্টিফিকেট ভুয়া দাবি করে আপত্তি জানান। ১২ ডিসেম্বর আদালতের বিচারক গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারুক আহমেদকে জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই তারিখে তিনি হাজির না হওয়ায় পরবর্তী তারিখ ১৭ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরবর্তী তারিখে হাজির না হওয়ায় ওই চিকিৎসককে কারণ দর্শাতে নোটিশ করা হয়। নোটিশের জবাব না দেয়ায় ১৯ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় (জিআর ৩৮৪/২৪) আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে ৫ দিনের কারাদণ্ড ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর প্রেক্ষিতে তাকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) অ্যাডভোকেট এমএ আলম সেলিম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় আদালত গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারুক আহমেদকে ১২ ডিসেম্বর জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই তারিখে হাজির না হওয়ায় পরবর্তী তারিখ ১৭ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরবর্তী তারিখে হাজির না হওয়ায় ওই চিকিৎসককে কারণ দর্শাতে নোটিশ করা হয়। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় ১৯ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেয় আদালত।