কাজ অসমাপ্ত রেখেই প্লট হস্তান্তর, শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু নিয়ে শঙ্কায় উদ্যোক্তারা

৩ দিন আগে
সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্কে কাজ অসমাপ্ত রেখেই প্লট হস্তান্তর করায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে। মাটি ভরাট না করাসহ নানা সংকটের কারণে বরাদ্দকৃত প্লটগুলোতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে পাড়ছে না বিনিয়োগকারীরা। দ্রুত বিসিক শিল্প পার্কটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের। তবে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে নারাজ প্রকল্প পরিচালক।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে নির্মিত এই বিসিক শিল্পপার্কে এরই মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেখানে ৮২৯ প্লটে গড়ে উঠবে প্রায় ৫৭০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৫৫০টি প্লট বরাদ্দ পেয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর দেশের উদ্যোক্তারা পেয়েছে ২৭৯টি প্লট।

 

তবে প্লট বরাদ্দ পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেননি উদ্যোক্তারা। কারণ, নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও অনেক প্লট এখনও অসম্পূর্ণ। প্লটে মাটি ভরাটসহ নানা কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় বরাদ্দ পাওয়া সত্ত্বেও উদ্যোক্তারা শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারছেন না। যে কারণে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ নিজের খরচে মাটি ভরাট করছেন।

 

আরও পড়ুন: নদীর বুকে শত বছরের ঐতিহ্য, বৈঠাকাটা বাজারে নৌকাতেই চলে বেচাকেনা

 

এছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, পানির সংকট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অকার্যকারিতা এবং অসম্পূর্ণ মাটি ভরাটের কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে দ্রুত প্লটগুলো প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য উপযোগী করার দাবি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের।

 

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দ্রুত শিল্প পার্কের সমস্যা সমাধান করতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা দ্রুত তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারে।’

 

তবে সরেজমিনে বিসিক শিল্পপার্ক পরিদর্শনে আসলেও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন।

 

উল্লেখ্য, শিল্পপার্কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭১৯ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পার্কটি পুরোদমে চালু হলে কর্মসংস্থান হবে প্রায় এক লাখ মানুষের।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন