বুধবার (১৪ মে) ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার মো. শাহীন মৃধা কলাপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিন তালুকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও মামলায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার, ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন গাজী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জুয়েল ইকবালসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে নদীতে ভেসে এলো যুবকের মরদেহ, পরিচয় জানে না কেউ
মোট ২১ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে মামলায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে আসা যুবকরা ধানখালীর মরিচবুনিয়া এলাকায় শাহীন মৃধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতঘর ও শ্রমিকদের ছাউনিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শাহীন মৃধা প্রাণ বাঁচাতে ঘরের টিন কেটে বের হয়ে আত্মরক্ষা করেন।
তবে আগুনে দুটি এসি, টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরা, ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
হামলার সময় স্থানীয় দোলন মৃধা (৩৫), মিরাজ হোসেন (৩৭) ও গাড়িচালক রানা (৩২) আহত হন।
শাহীন মৃধা অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ইন্দনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভস্মীভূত করেছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। আমাকে তালাবদ্ধ করে হামলাকারী চক্র আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি বের হতে না পারলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫ দোকান ভস্মীভূত
ঘটনার পর আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি বরিশালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
]]>