এরই পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী পেপার মিলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে বাঁশ ও গাছ পাল্পউড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহকে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেয় সরকার।
মিলের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের দাবি, পতিত সরকারের সময়কাল থেকে বর্তমানেও যারা মিলে দুর্নীতি করছে তাদের সরানো অতি প্রয়োজন। বর্তমানে কারখানায় কোনো পাল্প মজুত নেই। তাই দেশীয় ছেঁড়া কাগজ ও খোলা বাজার থেকে এলার্ম পাল্প সংগ্রহ করে ঢিলেঢালাভাবে কারখানাটি চলছে।
আরও পড়ুন: আবারও নতুন রূপে চালুর উদ্যোগ রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস
নতুনভাবে দায়িত্ব পাওয়া মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কেপিএম অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মিল। আমি কর্মস্থলে যোগদানের পর যতটুকু জানি বিভিন্ন প্ল্যান্টের পুরনো মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো অকেজো হওয়ার পথে। এরই মধ্যে অনেক মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুরোদমে পেপার উৎপাদন করতে, কর্ণফুলী পেপার মিলকে পুরোপুরি সচলকরণ ও নতুন ৬টি প্লান্ট স্থাপনসহ সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিসিআইসি শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি পাহাড়ের কাঁচামাল বাঁশ ও নরমকাঠ দিয়ে আবারও কাগজ উৎপাদন করা যায় কিনা এ ব্যাপারে গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’