উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য দুপুর থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে ফিরছেন বাড়িতে।
সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামে মাত্র টাকায় এমন বাজারের আয়োজন করেছে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’ নামে একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাইতো নামমাত্র মূল্যে ঈদসামগ্রী কিনতে ক্রেতাদের এমন ভিড়। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য, যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হত অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষদিকেও চড়া ফলের বাজার
আয়োজকরা জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগেই বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামেমাত্র মূল্যে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্রে মানুষ।
করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ইরেশ-ডি তনুময় বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই সাধারণে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করি। অন্তত ঈদের সময় তারা যাতে এই উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্ছিত না হন।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতেও বেচাকেনা জমজমাট, ভিড় বাড়ছে ফুটপাতে
করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠনের সভাপতি মো. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘৭ বছর আগে ছোট্ট পরিসরে মানবিক ঈদ বাজারের আয়োজন করি। এতে সংগঠনের সহকর্মীরা উৎসাহিত হন। প্রতি বছর আমরা সেবার পরিধি বাড়াচ্ছি। নিজেদের খরচের টাকা বাঁচিয়ে এর সঙ্গে বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার বিত্তবান মানুষজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এটি চলমান রেখেছি। এবার ৪০০ মানুষকে সেবা দিতে পেরেছি। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে আশা করি।’
]]>