ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া ঘিরে চীনের এমন আগ্রহকে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া সফর শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে পৌঁছান শি জিনপিং। সেখানে কাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। এরপর পিস প্যালেসে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্যদিয়ে দেশটিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু হয়।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কম্বোডিয়াকে দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে চায়, যার অংশ হিসেবে নির্মিত হবে নতুন রেললাইন, শিল্প অঞ্চল, প্রযুক্তি পার্ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক, ৩০টিরও বেশি চুক্তি সই
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে দুই দেশের পারস্পরিক সহায়তা কেবল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও ইতিবাচক বার্তা দেবে। দুই দেশের মধ্যে অন্তত ৩৭টি চুক্তি হয়।
পাঁচ দিনের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে এর আগে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার দাবি, এ সফর বন্ধুত্ব ও নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পথচলার অংশ।
ভিয়েতনামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অবকাঠামো খাতে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তি করেন শি জিনপিং। মালয়েশিয়াতেও উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়তে রাখেন তিনটি প্রস্তাব।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামের পর চীনের প্রেসিডেন্ট এখন মালয়েশিয়ায়
দেশ তিনটিতে চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। শির এই সফরকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
]]>