কমান্ডার সোহায়েলকে কানাডায় দেখার খবর গুজব: কারা অধিদফতর

৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আছেন। তাকে কানাডার টরন্টোতে দেখা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কারা অধিদফতর।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমান্ডার সোহায়েল সংক্রান্ত একটি প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যা সত্য নয়। তিনি বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আছেন।


জনগণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এসব পোস্টের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।


এর আগে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়, রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলকে এক সামরিক কর্মকর্তা টরন্টোর স্কারবোরো এলাকায় দেখেছেন।


বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও র‌্যাবের সাবেক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে গত বছরের ২০ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। তার আগের দিন নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর নৌবাহিনী এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়। পরে গুম ও অপহরণের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরালে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের অনুগ্রহভাজন হিসেবে রিয়ার অ্যাডমিরালে পদোন্নতি পান তিনি।


মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।


২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর মোহাম্মদ সোহায়েল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর ছিলেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

 

সোহায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১২ সালে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম মর্তূর্জা নিহিমকে তুলে নিয়ে যান র‌্যাব সদস্যরা। পরে আয়নাঘরে নিয়ে ৪৭ দিন আটকে রাখা হয়। সোহায়েলের নির্দেশে এ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন