কন্যা সন্তান ভেবে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে

৩ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে বর্বরভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভুক্তভোগী শ্রাবণী মৃধা গুরুতর অবস্থায় পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শ্রাবণী মোড়েলগঞ্জের মহিষপুরা গ্রামের উজ্জল হালদারের স্ত্রী। উজ্জল বাগেরহাট মোংলা উপজেলার কৃষি অফিসে অফিস সহকারী ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।

 

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উজ্জল এবং তার মা শুক্লা হালদার তাকে একটি কক্ষে ধরে রাখে নির্যাতন চালায়। চিৎকারে প্রতিবেশী সুশান্ত হালদার এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

 

শ্রাবণীর বাবা শেখর চন্দ্র মৃধা জানান, তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। এক পর্যায়ে সন্তান সম্ভাবা হলে ডাক্তার দেখানো হয় এবং আলট্রাসনো করা হয় । ডাক্তার গর্ভের সন্তান ছেলে বা মেয়ে সে সম্পর্কে পরিবারকে অবগত না করলেও স্বামী উজ্জ্বল এবং তার মা শুক্লা হালদার ভেবে নেয় গর্ভের সন্তান মেয়ে। এর ফলে উজ্জল ও তার মা শিশুটিকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিবাদ করায় শ্রাবণীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

 

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগীর যৌনাঙ্গে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং সেখানে একাধিক সেলাই করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: পিরোজপুরে মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন শাহীনুর বেগম

 

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি

 

এ বিষয়ে জানতে উজ্জল হালদারের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন