কনসার্ট নয়, টুর্নামেন্ট ও খেলোয়াড়ে বিনিয়োগের পরামর্শ তামিমের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই নতুন আঙ্গিকে বিপিএল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। বাকিরাও আশার বাণীই শুনিয়েছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদই বিসিবির ইতিহাসের প্রথম সভাপতি, যিনি সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন। ফলে আশায় বুক বেঁধেছিল দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার একদিন আগেও তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি। পরিবর্তন বলতে শুধুই জাকজমকপূর্ণ মিউজিক ফেস্ট।

বিপিএলের সেই পুরনো অব্যবস্থাপনা পিছু ছাড়েনি। টুর্নামেন্টের আগের দিনও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর স্কোয়াড নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। অধিনায়কের নাম ঘোষণায়ও ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। এমনকি মাঠের খেলা নিয়েও দর্শক সমর্থকদের মধ্যে নেই কোনো বাড়তি উত্তেজনা।

মাঠের খেলা নিয়ে পরিকল্পনার অভাব থাকলেও নামজাদা শিল্পীদের নিয়ে বিপিএলের তিন ভেন্যুতে তিনটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করে বেশ সাড়া জাগিয়েছে বিসিবি। টুর্নামেন্ট শুরুর বেশ আগেই এই কনসার্টগুলো আয়োজন করা হয়েছে। মিরপুরে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রধান অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। সাড়ে তিন কোটি টাকার বিনিময়ে এই কনসার্টে গান গেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল

বিপিএলে যে কোনো নতুনত্ব যোগ হয়নি তা স্বীকার করেছেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক বলেন, সত্যি কথা বলতে অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে না।’

মাঠের খেলায় বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে যদি বিনিয়োগ করি, টুর্নামেন্টে যদি বিনিয়োগ করি; তখন আমরা বলতে পারবো যে এটা নতুন করে বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে, এখনও হয়েছে; দারুণ একটা অনুষ্ঠান হয়েছে যা দেখেছি, আমি ছিলাম না দেশে।’

তামিম যোগ করেন, ‘এখনও এটা কিছুটা দ্রুত হয়ে যায় মন্তব্য করা, কারণ আমি জানি না কালকে কী আছে আমাদের জন্য। এটাও ফেয়ার হবে না আমি একটা কমেন্ট করে দিলাম যেটা খারাপভাবে গেল। আমি এতটুকু বলতে পারি, কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চায়, আমি এতটুকু বলবো যে যদি আপনি বিপিএল পরিবর্তন করতে চান; টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটে বিনিয়োগ করুন।’

আরও পড়ুন: জাতীয় দল নিয়ে তামিমের মাথায় আপাতত কোনো চিন্তা নেই

ক্রিকেট কেমন হবে সেটা মাঠে খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করলেও আয়োজকদের হাতে অনেক কিছুই থাকে বলে মনে করেন তামিম,  ‘ক্রিকেটটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে। এটা তো আসলে যারা আয়োজক তাদের হাতে কিছু থাকে না। তাদের হাতে কী থাকে, সেরা ফ্যাসিলিটিজ দেওয়া, সেরা উইকেট দেওয়া, নিশ্চিত করা সেরা ধারাভাষ্যকার, ক্যামেরা ও টেকনোলজি যেটা এভেইলেবল, তা পাওয়া। এটা হলো যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের কাজ।’

‘কিন্তু উনারা কোনোদিন এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আসলে। খেলা দুইশ রানের হবে নাকি ৬০ রান-৬০ রানের হবে, ওটার দায়িত্ব দল ও খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এটার বাইরে যেগুলো, এগুলো উনাদের দায়িত্ব। উনারা যদি উনাদের কাজটা ভালো মতো করেন, আমরাও যদি আমাদের কাজ ভালো মতো করি তাহলে সফল টুর্নামেন্ট হবে।’ - তিনি যোগ করেন।  

]]>