কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

৫ দিন আগে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসানো দোকানকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যারা আগামি ১৬ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে না নেবে ওই সব দোকান উচ্ছেদ করা হবে জানিয়েছে প্রশাসন।

শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, সেনা বাহিনী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, সৈকতের ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান।
 

তিনি বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের আলোকে এই বৈঠক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে  বালিয়াডিতে নতুন বসানো দোকানকে শনিবার (১১ অক্টোবর) আর পুরাতন দোকানগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের (১৬ অক্টোবর) মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তেমন না হলে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
 

এসব দোকান সৈকতে বসানোর অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তিনি আরো বলেন, আমরা বালিয়াড়িতে বসার অনুমোদন দেই নি। আমরা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টের নাম লিখে অনুমোদন দেই। এখন যারা সরে যাবে তারা বালিয়াড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবে।

আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজারে বসেছে প্রাণের মেলা


মূলত ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দূরত্বের এই সমুদ্র সৈকতকে ইসি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সেই  আইন অনুযায়ী, সৈকতের জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ। এছাড়া এ আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালত ২০১১ সালে সৈকতের বালিয়াড়িতে সকল স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের আলোকে ২০২২ সালে  প্রায়ই ৫ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। তবে থেকে যায় আরো তিন শতাধিক স্থাপনা। সেই সব স্থাপনাও পরে উচ্ছেদের কথা ছিল। কিন্তু সে কথা রাখেনি জেলা প্রশাসন। পরে উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনা আবারও নতুন করে তৈরি হয়ে যায়। আর এর মধ্যে এবার নতুন চুক্তি করে সৈকতে স্থাপনা নির্মানের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল।
 

সম্প্রতি সৈকতের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে রাতারাতি শতাধিক দোকান তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে , কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুমতি পত্র নিয়ে বসানো হচ্ছে এসব দোকান।
 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন