নগর জীবনে দূষিত পানির ছড়াছড়ির মাঝে ব্যবহারযোগ্য পানির যদি হয় এমন দশা, তাহলে জীবন কতটা দুর্বিষহ তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন রাজধানীবাসী।
খিলগাঁওয়ের তিলপা পাড়া। বছরের এই সময় এলেই কয়েক মাস ধরে পানির কল থেকে আসে ছোট ছোট পোকা আর ময়লা। এছাড়া পাল্টে যায় রঙ, হয় দুর্গন্ধ। কোনো রকম ধোয়ামোছা, রান্না ও গোসলের কাজ সারতে পারলেও খাওয়ার অযোগ্য এসব পানি।

শুধু খিলগাঁও নয় এমন অভিযোগ মগবাজার, কল্যাণপুর, বনশ্রী, বাড্ডা, মুগদা, যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থ রাজশাহী ওয়াসা
সরেজমিনে ঘুরে মেলে অভিযোগের সত্যতা। তবে সব এলাকায় পোকামাকড় দেখা না গেলেও আসছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি। যার ব্যবহারে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। ভুক্তভোগীরা জানান, পানিতে দুর্গন্ধ। এছাড়া কেচোর মতো লাল রঙের ছোট ছোট পোকা পানির সঙ্গে আসছে। এই পানি ব্যবহারের অযোগ্য।
দুর্গন্ধের বিষয়টি স্বীকার করলেও পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ডিএমডি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শহীদ উদ্দিন পোকামাকড়ের জন্য দায়ী করছেন বাড়ির সংরক্ষণাগার ও বাসার ছাদের ট্যাংকের অপরিচ্ছন্নতাকে। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা দিনরাত কাজ করছে। পানি ছাড়ার আগে পরীক্ষা করে দেখা হয়, সেখানে এখন পর্যন্ত পোকার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বাড়ির সংরক্ষণাগার ও বাসার ছাদের ট্যাংকের অপরিচ্ছন্নতার কারণে পোকা হতে পারে।
তবে বেশিরভাগ বাড়িওয়ালা বলছেন পানি সংরক্ষণাগার ও ছাদের ট্যাংক পরিষ্কার করেও মিলছে না সুফল। তারা বলেন, আগে মনে করতাম পরিষ্কার না করার কারণে পোকা হয়, কিন্তু এখন পরিষ্কার করার পরও পোকা হচ্ছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের দায়সারা বক্তব্য না দিয়ে কার্যকর সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান নগরবাসীর।
]]>