এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা আমলে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং দীর্ঘদিন ধরেই বলেছেন তিনি একটি ‘আরও ভালো’ চুক্তি করবেন।
শনিবারের আলোচনা শুরুর আগ পর্যন্ত ইরান চুক্তিটির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
আরও পড়ুন:ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরির কাছাকাছি ইরান: মার্কিন সিনেটর
আলোচনার জন্য দুই পক্ষ একই কক্ষে বসবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে এই আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি করা সম্ভব কিনা তার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠককে দেখা হচ্ছে।
শনিবারের বৈঠকে আলোচনার জন্য একটি কাঠামো দাঁড় করানোর উপর আলোকপাত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরাঘচি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই পর্যায়ে সরাসরি নয়, পরোক্ষ আলোচনাই সর্বোত্তম।
এদিকে, আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি এই আলোচনা মুখোমুখি (প্রত্যক্ষ) হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উভয় পক্ষ কী ধরণের চুক্তি করবে তা। ট্রাম্প এর আগে বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।
তবে, ইরান আশা করে যে এমন একটি চুক্তি করা হবে, যেখানে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করা হবে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ নয়। এর মাধ্যমে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে।
আরাঘচি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হল সমান অবস্থান থেকে একটি ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তিতে পৌঁছানো। যদি অন্য পক্ষও এমনটা মনে করে তাহলে আশা করা যায়, প্রাথমিক বোঝাপড়ার সুযোগ থাকবে যা আলোচনার পথে নিয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, তার সাথে আসা দলটি এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
আরও পড়ুন:সামরিক হুমকি বন্ধ করলে পারমাণবিক চুক্তি করতে প্রস্তুত: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে শনিবারের এই আলোচনাকে উচ্চ-স্তরের বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র: বিবিসি
]]>