ঐশ্বরিয়াকে হারিয়ে কেন ‘মিস ইন্ডিয়া’ হন সুস্মিতা, কারণ জানলেন আরেক অভিনেত্রী

১ সপ্তাহে আগে
একই বছর ভারতকে দুই দুটি আন্তর্জাতিক খেতাব এনে দেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় ও সুস্মিতা সেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভারতের একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় একসঙ্গে অংশ নিয়ে সুস্মিতার কাছেই হেরে যান বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া?

১৯৯৪ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জয় করেন সুস্মিতা। অন্যদিকে একই বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়া আরেকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্ডিয়া’র শিরোপা জেতেন ঐশ্বরিয়া। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক দুই শিরোপা অর্জনের আগে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘মিস ইন্ডিয়া’তে একই বছর অংশ নিয়েছিলেন এ দুই সুন্দরী!

 

১৯৯৪ সালে অংশ নেয়া এ দুই সুন্দরীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তখন শুরু হয়েছিল নানা আলোচনা, কল্পনা-জল্পনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যখন ঐশ্বরিয়া ‘মিস ইন্ডিয়া’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন তখন অনেক সুন্দরীই নিজের নাম ওই প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করা থেকে পিছু হটেন।

 

কারণ ওই সময় ঐশ্বরিয়া শোবিজে পরিচিতি মুখ হওয়ার পাশাপাশি তার সৌন্দর্য ও গুণের খ্যাতি ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। আপনি জানলে অবাক হবেন? ঐশ্বরিয়া থাকলে তাদের জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই এই ভেবে ওই সময় অন্তত ২৫ জন সুন্দরী মডেল তাদের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন ‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতা থেকে।

 

এমন পরিস্থিতিতে সুস্মিতা সেনও ‘মিস ইন্ডিয়া’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন কো থেকে পিছু হটেন। তখন তার মা সুস্মিতাকে বলেন, ‘চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দিলে তুমি? তোমার যদি মনে হয়, ঐশ্বরিয়া খুব সুন্দরী, সেই জিতবে, তাহলে তার কাছে হারতে অসুবিধা কোথায়?’

 

মায়ের কথায় সুস্মিতা ‘মিস ইন্ডিয়া’য় প্রতিযোগী হিসেবে নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করেন। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে এক মঞ্চে সেরা হওয়ার জন্য লড়াই করেন। এরপরই ঘটে অবাক করা ঘটনা! সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঐশ্বরিয়াকে হারিয়ে বিজয়ী হন সুস্মিতা। এর কারণ কী ছিল প্রতিযোগিতার প্রায় ৩১ বছর পর সে গোমর ফাঁস করেছেন ওই প্রতিযোগিতারই প্রতিযোগী, অভিনেত্রী রুবি ভাটিয়া। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই অভিনেত্রী বলেন,

ঐশ্বরিয়া যখন হেরে যান তখন অনেকেই তার হেরে যাওয়ার কারণ খুঁজছিলেন। সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত ইংরেজি না বলতে পারায়, হিল পরে অস্বস্তি অনুভবে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকায় এমনকি র‌্যাম্পে হাঁটার সময় ফ্লোরে স্লিপ করার কারণেও তিনি ‘মিস ইন্ডিয়া’খেতাব না জিতে প্রতিযোগিতায় ১ম রানার আপ হয়েছিলেন।

 

অভিনেত্রী রুবি ভাটিয়া আরও বলেন,

ফেমিনা ম্যাগাজিনের সাবেক সম্পাদক বিমলা পাতিল তখন ১৯৯৪ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিচারকদের একজন ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন ঐশ্বরিয়া জয়ী হলেন না? তখন তিনি আমাকে আসল কারণ জানান। বিমলা পাতিল তাকে বলেছিলেন যে ওই সময় বিচারকরা এমন একজন প্রতিযোগী খুঁজছিলেন যার নির্দিষ্ট গুণাবলী আছে এবং তারা তাকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় পাঠাতে পারেন।

 

‘মিস ইউনিভার্স’ মুকুট অর্জনের পর সুস্মিতা (বামে) ও ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মুকুট অর্জনের পর ঐশ্বরিয়া (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

 

বিমলা পাতিলের ভাষায়,

‘মিস ইউনিভার্স’ একজন বুদ্ধিমতী, সুন্দরী নারীর খোঁজ করে যেখানে সুস্মিতা সেন উপযুক্ত। এ কারণেই বিচারকরা সুস্মিতাকে জয়ী করেন। অন্যদিকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড ’ আরও স্বপ্নময়, সুন্দরী, নারীসুলভ, ডিভা নারীর খোঁজ করে যার জন্য ঐশ্বরিয়াকে বেছে নেয়া হয়েছিল। তাই ‘মিস ইন্ডিয়া’য় প্রথম রানার আপ করা হয় তাকে। মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভারতের হয়ে দুটি আন্তর্জাতিক খেতাব অর্জন।

 

আরও পড়ুন: নিজের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঐশ্বরিয়াকে উৎসর্গ করলেন অভিষেক

 

১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেনের ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জয়ের মাধ্যমে ভারত প্রথমবার এ খেতাব অর্জন করে। অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া রায়ের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মুকুট অর্জনের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে রিতা ফারিয়ার পর ভারত দ্বিতীয়বার এ বিজয় মুকুটের ভাগীদার হয়।

 

আরও পড়ুন: আকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিকে দীপিকার সাথে জুটি গড়ছেন আল্লু অর্জুন

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন