শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়। খানপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। খেলা শুরু হলে মাঠের চারদিকে হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বসিত আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকের মুহুর্মুহু করতালি আর চিৎকারে অন্যরকম আনন্দ বয়ে যায়। শিশু যুবক বৃদ্ধসহ খেলা উপভোগ করেন সকল বয়সী নারীরাও। এ যেন চিরায়ত বাঙালির চিরচেনা মিলনমেলা।
এদিকে, ঘোড়দৌড় দেখতে দূরদূরান্ত থেকে সব বয়সের হাজার হাজার মানুষ আসেন। দূরদূরান্তের আত্মীয় স্বজনরা বেড়াতে আসেন খানপাড়া ও এর আশপাশের গ্রামে। এলাকাজুড়ে আনন্দ ও উৎসবে মেতে উঠে খেলাপ্রেমীরা। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে মাঠে বসে গ্রামীণ মেলা। নানা পণ্য সামগ্রীর দোকান বসে মেলায়। মিষ্টান্ন আর বাহারী সব খাবারের পসরা বসে ধান তুলে নেয়ার পর পতিত জমিতে প্রতিযোগিতা হওয়ার মাঠের চারদিক।
ভোলাহাট মুশরিভুজা এলাকার পঞ্চাশোর্ধ আমজাদ আলী জানান, সকালে শুনার পরই রওনা দিয়েছি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে। প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এসে ঘোড়দৌড় দেখতে পেয়ে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর এমন মনোমুগ্ধকর খেলা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগল।
আরও পড়ুন: ধুলো উড়িয়ে ছুটল ঘোড়া, মুগ্ধ হাজারো দর্শক
স্থানীয় যুবক সিফাত রানা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে এখানে। এই আয়োজনকে ঘিরে এলাকায় একটা উৎসব তৈরি হয়। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এখানকার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুই ইদের পর সবচেয়ে বড় উৎসব এখন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এমন আয়োজন যাতে আগামীতেও অব্যাহত থাকে সেই দাবি জানায়।
জয়-পরাজয় দূরে ঠেলে খেলায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত প্রতিযোগী কিশোররা। স্থানীয়দের নির্মল বিনোদন দিতে এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আশ্বাস আয়োজকদের। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক ও খানপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক মো. হেলাল জানান৷ দুদিন ব্যাপী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ২০০ ঘোড়া অংশ নিচ্ছে। প্রথম বিজয়ীকে একটি ফ্রিজ ও দ্বিতীয় বিজয়ী একটি ছাগল পুরস্কার দেয়া হয়। আমরা আগামীতেও এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করব।