বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আটাব-এর জিন্দাবাজারস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ, আটাব সিলেট চ্যাপ্টার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আটাব সিলেট-এর চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান জানান, আটাব সরকার নিবন্ধিত প্রায় ৪ হাজার ট্রাভেল এজেন্সি সদস্যদের একটি বাণিজ্যিক সংগঠন। আটাব অরাজনৈতিক মতাদর্শে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতি ২ বছর অন্তর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে যুক্তরাজ্যে হাই টেক পার্ক মেলা জুনে: আইসিটি সচিব
তিনি জানান, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি আটাব সদস্যদের ব্যবসা করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও এয়ার টিকেট মার্কেটকে কুক্ষিগত করে রাখা সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে এয়ার টিকেটের বিক্রয়, বিপণন ও বাণিজ্য একটি নির্দিষ্ট মহলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় টিকেট মার্কেটে চরম অস্থিরতা বিদ্যমান ছিল। এর ফলে টিকেটের অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য ও কৃত্রিম আসন সংকট বিরাজ করতো। গত ২৬ জানুয়ারি আটাব এয়ার টিকেটের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম টিকেট সংকট ও টিকেট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় আটাব। এতে সরকার এয়ার টিকেটের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে টিকেটের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে।
তিনি আরও জানান, এয়ার টিকেটের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের ২৩ মার্চ, ২০২৫ ও ২ মার্চ, ২০২৫ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পর এয়ার টিকেটের মূল্য কমার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এ কারনে এয়ার টিকেট সিন্ডিকেটকারী দুষ্কৃত মহল সরকারি পরিপত্র জারির পর সিন্ডিকেশন করার সুযোগ পাচ্ছে না এবং ব্যবসায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টিকেট মূল্যবৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারছে না। ফলে তারা বর্তমান আটাব কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
গত ৫ মার্চ ২০২৪ আটাবের সকল সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আটাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান আটাব সভাপতি ও মহাসচিব কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু টিকেট সিন্ডিকেট মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আটাবের বর্তমান সভাপতি, মহাসচিব ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে নানারকম অপপ্রচার ও অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আটাব সভাপতি, মহাসচিব ও কমিটির সম্মানহানি করার লক্ষ্যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও বিভ্রন্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং আটাব সদস্যদের অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। আটাব ও আটাব সদস্যগণ এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ২ কর্মী আহত
আটাব সভাপতি বলেন, ‘সিন্ডিকেট চক্রের একজন সদস্যের আপন ভাই। তার মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি আবেদনকে আমলে নিয়ে বর্তমান সদস্যবান্ধব আটাব কমিটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন চিঠি পেয়ে আমরা হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। কোনো প্রকার তদন্ত, সত্যতা যাচাই বা শুনানি না করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এ নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’