এবার সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিল সেনাবাহিনী

৩ সপ্তাহ আগে
সুদানের রাজধানী খার্তুমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের এক দিন পর শনিবার (২২ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক দখলে নেয় সেনারা। খবর রয়টার্সের।

শনিবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী আরও সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় শত শত মিলিশিয়া সদস্যকে নির্মূল করা হয়েছে।’

 

এর আগে প্রায় দুই বছর পর শুক্রবার (২১ মার্চ) আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় সেনারা।

 

২০১৯ সালে সাবেক রাষ্ট্রনায়ক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০২১ সাল থেকে সুদানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহানই কার্যত সুদানের শাসক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তার ডেপুটির দায়িত্বে রয়েছেন আরএসএফ-এর প্রধান জেনারেল মুহাম্মদ হামদান দাগালো।

 

আরও পড়ুন: সুদানের রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিল সেনাবাহিনী

 

এরপর থেকে সামরিক ও আধাসামরিক দুই বাহিনী মিলে সুদানের শাসনভার সামলাচ্ছিল। তবে এক পর্যায়ে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে মূল সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভূক্তি করে নেয়ার প্রস্তাব দেন জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান।

 

এতে দাগালোর সঙ্গে বুরহানের সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করে দ্বন্দ্ব। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়।

 

যা গত দুই বছর ধরে চলছে। এই সংঘাতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। শুধুমাত্র খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

 

২০২৩ সালের এপ্রিলেই রাষ্ট্রপতি ভবনসহ রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ। তবে সম্প্রতি আবারও নীল নদের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি ভবন উদ্ধারে অগ্রসর হতে থাকে সেনাবাহিনী।

 

খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর থেকে অগ্রসর হওয়া একদল সেনা গত সোমবার (১৭ মার্চ) খার্তুম শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা আরেকদল বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়।

 

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পবিদ্বেষী’ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

 

মিলিত বাহিনী আধাসামরিক বাহিনীর ওপর আরও চাপ তৈরি করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শহরজুড়ে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। অবশেষে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী।

 

এরপর শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখলে নেয় সেনাবাহিনী। তবে খার্তুমের কিছু এলাকা, সংলগ্ন ওমদুরমান প্রদেশ এবং দক্ষিণ সুদান আধাসামরিক বাহিনীর হাতেই রয়েছে।

 

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন