এবার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুললেন পারটেক্সের কোচ

১ সপ্তাহে আগে
ডিপিএলে একের পর এক ম্যাচ হারছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। এর মধ্যেই ক্লাবটির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটাররা। পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার অভিযোগে পারটেক্সের বিরুদ্ধে বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে ক্লাবটির ক্রিকেটাররা। এমনকি ম্যাচ বর্জনের হুমকিও দিয়েছে সাব্বির রহমান-মুক্তার আলীরা। ঘটনাবহুল দিনের শেষে উল্টো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেই আরেক অভিযোগ তুলেছেন পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম।

ডিপিএলের এবারের আসরে পারটেক্সের শুরুটাই হার দিয়ে। শাইনপুকুরের কাছে হারার পর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জিতে চমক দেখিয়েছিল সাব্বির রহমান-মুক্তার আলীদের নিয়ে দল সাজানো পারটেক্স। তবে পরের চার ম্যাচে টানা হারে ক্লাবটি। এর পরের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে জয়খরা কাটালেও ফের দুই ম্যাচে হেরে বসেছে তারা। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জিতে বেকায়দায় পারটেক্স।


ঐতিহ্যবাহী দলটির এমন বাজে পারফরম্যান্সের মাঝেই বুধবার (৯ এপ্রিল) অনুশীলন বর্জনের ঘটনা ঘটে। পারিশ্রমিক বুঝে না পাওয়ায় খেলোয়াড়রা এরপর বিসিবিতে গিয়ে অভিযোগের চিঠি দিয়ে এসেছে। ক্রিকেটাররা জানিয়েছেন, রাতের মধ্যে পারিশ্রমিক বুঝিয়ে না দিলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করবেন তারা।


আরও পড়ুন: ডিপিএলে বিতর্কিত আউট, ইচ্ছাকৃতভাবে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হলেন ব্যাটার!


কিন্তু একই দিনে বিকেলে ক্লাবের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে পাল্টা অভিযোগ এনেছে পারটেক্স। সেই অভিযোগও গুরুতর। পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিমের দাবি, তার দলের ক্রিকেটাররা সন্দেহজনক ক্রিকেট খেলছে। তার ইঙ্গিত ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দিকে।


এ প্রসঙ্গে পারটেক্সের কোচ বলেন, ‘আমাদের অফিশিয়ালরা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছে একরকম। তারা (ক্রিকেটাররা) খেলছে আরেক রকম। আমাদের অফিশিয়ালরা ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছে, আমার দল ১০০ রানে অলআউট হয়ে যাক, কিন্তু ইতিবাচক খেলা চাই। কিন্তু ওরা গিয়ে নেগেটিভ ক্রিকেট খেলেছে।’


নেতিবাচক ক্রিকেট কেমন–তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আনোয়ারুল মোস্তাকিম বলেন, ‘নেগেটিভ বলতে যেমন ধরেন ৫০ বল খেলে ১৮ রান। ওই ধরেন কেউ ৪০ বল খেলে ৫ রান। আমার অফিশিয়াল তো এটা গ্রহণ করেনি।’


দলের চাহিদার বিপরীতে নেতিবাচক ক্রিকেট খেলায় পারটেক্সের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ‘ফিক্সিংয়ের’ অভিযোগ উঠছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই অভিযোগ অবশ্য নিয়মিতই ওঠে। তবে তদন্তে সেভাবে কিছুই ধরা পড়ে না। পারটেক্সের কোচ এদিন দাবি করেন, অনেকেই তাকে ফোন করে জানিয়েছেন কয়েকজন খেলোয়াড় ফিক্সিং করছেন।


আরও পড়ুন: টাইগারদের পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ


পারটেক্সের কোচ বলেন, ‘এটা শুধু (সন্দেহ) আমরা না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে, এটা সন্দেহজনক, তোমাদের দলের খেলোয়াড়েরা এমন করছে কেন! এ রকম তো খেলার কথা না। যেখানে ২২০ রান তাড়া করছি, ২০ ওভারে ৩৭ রান। এটা তো সন্দেহজনক খেলা।’


তবে প্রমাণ না থাকায় নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছেন আনোয়ারুল মোস্তাকিম, ‘আমি তো প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলতে পারছি না। আমাকে অনেক খেলোয়াড় অনেক ফোন করছে, আপনার এই খেলোয়াড় ফিক্সিং করছে। এই খেলোয়াড় এটা করছে, ওটা করছে। আমার তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই, ফিক্সিংটা করে কীভাবে। কিন্তু এ রকম নেগেটিভ খেলা কেন!’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন