রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কট্টর মিত্র ছিল এবং তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এর আগে মস্কো জানিয়েছিল যে, তারা দামেস্কের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার যে সামরিক স্থাপনাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কী করা হবে তা ঠিক করতেই এই যোগাযোগ বলেও জানায় মস্কো।
এদিকে সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার অংশ হিসেবে দামেস্ক সফর করছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা। এক বৈঠকে সিরিয়ার নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি ইউক্রেনের আন্দ্রি সিবিহাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব থাকবে।’
আরও পড়ুন:সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে ৪ বছর লাগতে পারে: আহমেদ আল শারা
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছর ধরে সিরিয়ার জনগণ এবং ইউক্রেনের জনগণ একই অভিজ্ঞতা এবং একই দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গেছেন। সিরিয়ার ২০১১-২৪ সালের গৃহযুদ্ধ এবং রাশিয়ার ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের জন্য ২০২২ সালে সামরিক হামলা একই ধরনের পরিণতি বয়ে এনেছে আমাদের মাঝে।
সিবিহা সোমবার রাজধানী দামেস্কে সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও দেখা করেন। এ সময় তিনি শারাকে জানান, ইউক্রেন সিরিয়ায় আরও খাদ্য সহায়তার চালান পাঠাতে চায়। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কিয়েভের পক্ষ থেকে দেশটিতে খাদ্যের ২০টি চালান পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহযোগিতায় কিয়েভের মানবিক প্রকল্প ‘ইউক্রেন থেকে শস্য’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে খাদ্য সহায়তার প্রথম চালান পাঠানোর ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন:সিরিয়ার ৭০ সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাঠাল লেবানন
এর আগে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া।
]]>