এবার আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হলো দাবা খেলা

১ সপ্তাহে আগে
ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। এই খেলাটি জুয়ার উৎস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (১১ মে) তালেবান সরকারের ক্রীড়া অধিদফতরের মুখপাত্র আতাল মাশওয়ানির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

 

দেশটির সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসলামী আইনের সঙ্গে দাবার সামঞ্জস্যতা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত খেলাটি আফগানিস্তানে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে আতাল মাশওয়ানি  বলেন, দাবাকে শরিয়া আইন অনুসারে জুয়া খেলার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা তালেবানরা কঠোরভাবে মেনে চলে।

 

দাবা খেলার ব্যাপারে ধর্মীয় বিবেচনা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত, আফগানিস্তানে দাবা খেলা স্থগিত থাকবে।’

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনানুষ্ঠানিক দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা কাবুলের একজন ক্যাফের মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা বলেন, ‘বর্তমানে তরুণদের জন্য খুব বেশি বিনোদন নেই, তাই অনেকে প্রতিদিন এখানে আসত। তারা এক কাপ চা নিয়ে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে দাবা খেলায় মেতে উঠত। নতুন এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করব, কিন্তু এটি আমার ব্যবসার ক্ষতি করবে।’

 

আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে বুদ্ধির খেলা দাবা

 

জুয়া খেলার কথা অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে দাবা খেলা হয়। অন্যান্য অনেক ইসলামিক দেশের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড় রয়েছে।’

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ অন্যান্য খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং দেশটিতে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তালেবান কর্তৃক নিষিদ্ধ সর্বশেষ খেলা হলো দাবা।

 

এর আগে, গত বছর কর্তৃপক্ষ মিশ্র মার্শাল আর্টের (এমএমএ) মতো ফ্রি ফাইটিং পেশাদার প্রতিযোগিতা নিষিদ্ধ করে। কারণ এটি ‘খুব সহিংস’ ও ‘শরিয়াহর দৃষ্টিতে সমস্যাযুক্ত’ বলে মনে করা হয়।

 

২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানরা ধারাবাহিকভাবে এমন বেশিকিছু আইন ও বিধি আরোপ করেছে, যা ইসলামী আইনের প্রতি তাদের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন