গ্রাহকরা জানান, ২০১০ সালে নিবিড় মানবিক উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি এনজিও খোলেন মতিউর রহমান। তিনি সংস্থার মালিক ও নির্বাহী পরিচালক। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের নামে এনজিও শুরু হলেও অতিরিক্ত মুনাফা দেয়ার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে আমানতও সংগ্রহ করতে শুরু করে সংস্থাটি।
সংস্থার ম্যানেজার তাহমিনা খাতুন রুমাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ২০ জন মাঠকর্মীর মাধ্যমে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা, চরঅনুপনগর, গোবরাতলা, ঝিলিম ইউনিয়ন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আমানত সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হাতেনাতে ধরা পড়া ‘ডাকাতের’ জামিন, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
এভাবে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে মতিউরের তথাকথিত এনজিও। এরপর হাজারো মানুষের এই আমানত আত্মসাৎ করে হঠাৎ উধাও হয়ে যান মতিউর। প্রায় দুই মাস লাপাত্তা থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের শান্তিমোড় এলাকায় তাকে পাকড়াও করে কিছু গ্রাহক।
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়। সাথে সাথে গ্রাহকরাও থানায় যান এবং তাদের আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন। তাদের দাবির মুখে এনজিও মালিক মতিউরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীন জানান, শান্তিমোড় এলাকায় গ্রাহকদের হাতে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে এনজিও মালিক মতিউর রহমানকে থানায় নেয়া হয়। মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আদালতে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধুলো উড়িয়ে ছুটল ঘোড়া, মুগ্ধ হাজারো দর্শক
]]>