রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
ইসি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনই থাকা উচিত। আমাদের মনে হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন নেয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা এ বিষয়ে পত্রালাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে নিউজ দেখতে পাচ্ছি, একইসঙ্গে সব নির্বাচন দেয়ার কথা বলছেন। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা আসলে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব না। সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়; আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনও একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমরা পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে কখনোই সম্ভব নয়: কমিশনার সানাউল্লাহ
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা উচিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এগোচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে সকল নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে এটা ধারণ করে যদি কোনো আইন ও বিধিমালা সংশোধন করতে হয় তার একটা টাইম আছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ওয়েদার একটা ফ্যাক্টর।’
উল্লেখ্য, আজ ছিল দ্বিতীয় কমিশন সভা। এতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ও বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এ ছাড়া বিশেষ এলাকায় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) ভোটার নিবন্ধনের জন্য ফরম-২-এর ব্যবহার এবং জনবল ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।