অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা সংস্কারের মধ্যে অনেকটাই কচ্ছপ গতিতে চলছে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয়ের হিসাবে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক, জুলাই-সেপ্টেম্বরে এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ; যা আগের গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে আসা এই তথ্য কিছুটা আশা জাগালেও সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় তা বেশ কম। প্রতিবেদন বলছে, প্রথম তিন মাসে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করছে ১২ হাজার ১৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ১৩ হাজার ২১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ব্যয় কমেছে ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫.০৯ শতাংশ
এই সময়ে মোট বরাদ্দের ২৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ব্যয় করে সর্বোচ্চ খরচের তালিকায় রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আর ১৯ দশমিক ০৭ শতাংশ ব্যয় করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ব্যয়ের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর এক শতাংশও খরচ করতে পারেনি পররাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, বেসামরিক বিমানসহ ১০ মন্ত্রণালয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্পগুলোকে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতেই বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। যদিও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিনিয়োগে ও কর্মসংস্থানে। অর্থনীতিবিদ মো. মাজেদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিগত কয়েক বছর ধরে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ এখনো কর্মসংস্থানের বাইরে রয়েছে। যদি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার বাড়ানো যায় এবং বেশি সংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়; তাহলে মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, আয়ও বাড়বে। এতে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমবে, অন্যদিকে দারিদ্র্যের হারও হ্রাস পাবে।’
চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা।
]]>
৩ দিন আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·