চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ভাড়া চূড়ান্ত করতে হবে। এ জন্য লিড এজেন্সিগুলোকে তাদের নুসুক আইডি-পাসওয়ার্ড ও প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি তহবিল থেকে অগ্রিম অর্থ খরচ করা হবে, তবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লিখিত সম্মতি লাগবে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সম্মতিপত্র জমা না দিলে এবং হোটেল ভাড়া চূড়ান্ত না হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: নবীজির উপর দরুদ পাঠের ৯ ফজিলত
চলতি বছর হজ করতে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১শ মুসল্লি সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২শ। ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং এজেন্সিগুলোর দেয়া তথ্য অনুসারে, ১৪ এপ্রিলের মধ্যে সবার জন্য বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পন্ন করতে সৌদি সরকারের কঠোর নিয়ম থাকলেও, শেষ পর্যন্ত এক হাজার ৪ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিস্ট ২০টি এজেন্সি। সোমবার রাত থেকেই বাড়িভাড়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের জন্য এখন শুধু দ্রুত হোটেল ভাড়ার একমাত্র সুযোগ রয়েছে।
বারবার তাগিদ দেয়ার পরও এজেন্সির এমন গাফিলতি মানতে নারাজ মন্ত্রণালয়। বাড়ি বা হোটেল ভাড়ার জন্য কেউ হজ থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
আগামী ২৯ এপ্রিল শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এবারও হজযাত্রীদের অর্ধেক পরিবহন করবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।