রোববার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সামাজিকমাধ্যম এক্স বার্তায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, ‘৩০ দিনের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের ফেডারেল সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। এই আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হলে জরিমানা এবং কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:ওমানে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনা শুরু, ‘ন্যায্য চুক্তি’ চায় ইরান
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অফিস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সচিব কৃষ্ণি নোয়েমকে ট্যাগ করে বিভাগ অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়। বলা হয়েছে, ‘এখনই চলে যান এবং স্বেচ্ছা- নির্বাসন করুন।’
এই সিদ্ধান্ত এইচ-১ বি ভিসা বা স্টুডেন্ট পারমিটের মতো ভিসাধারীদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে না। তবে এটি যথাযথ অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকদের বিরত রাখার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, যদি এইচ-১ বি ভিসাধারী কোনও ব্যক্তি চাকরি হারান কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ ত্যাগ না করেন, তাহলে তিনিও ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন। অতএব, শিক্ষার্থী এবং এইচ-১ বি ভিসাধারীদেরও নিশ্চিত করতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থানে সরকারের সম্মতির শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
এছাড়া ‘অবৈধ বিদেশিদের প্রতি বার্তা’ শীর্ষক একটি পোস্টে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের স্ব-নির্বাসনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘স্ব-নির্বাসন নিরাপদ। আপনি নিজেই প্রস্থান করুন।
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, স্ব-নির্বাসন ভবিষ্যতে বৈধ অভিবাসনের সুযোগ খোলা রাখবে এবং এই ধরনের নির্বাসিতরা যদি যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য না রাখেন তবে তারা ভর্তুকিযুক্ত ফ্লাইটে যেতে পারবেন।
কর্তৃপক্ষকে সময়মতো না জানানোর পরিণতি জানিয়ে পোস্টটিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ শনাক্ত করার পর তাদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে।
সেক্ষেত্রে নির্বাসনের চূড়ান্ত আদেশ পেলে এবং অবস্থান করলে প্রতিদিন ৯৯৮ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। স্ব-নির্বাসন দাবি করার পরেও যদি কেউ স্ব-নির্বাসন না করেন তবে ১,০০০-৫,০০০ ডলার জরিমানা হবে। স্ব-নির্বাসন না করলে জেল হতে পারে বলেও পোস্টটিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
যেসব বিদেশি নাগরিক নিজেদের নিবন্ধন করবেন না তাদের আইনি অভিবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে বাধা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
]]>