একই গবেষণা বারবার হওয়া ঠেকাতে ডাটাবেজ করা হবে: ইউজিসি

১ সপ্তাহে আগে
দেখা যায় একই বিষয়ে একই ধরনের গবেষণা বারবার করা হচ্ছে। কেউ পদোন্নতির জন্য, কেউ বা দায়সারার জন্য গবেষণা করেন। এ ক্ষেত্রে বিষয় নির্বাচনেও গুরুত্ব দেয়া হয় না। তার ফলাফলও সেভাবে প্রকাশিত হয় না। ফলে এ ধরনের গবেষণা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে আসে না।

গবেষণার এমন পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শিগগির ডাটাবেজ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব।


তিনি বলেন, ইউজিসি কর্তৃপক্ষ গবেষণাসমূহ ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিগগির গবেষণার একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। গবেষকরা এ থেকে নানাভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষ করে ডাটাবেজের মাধ্যমে গবেষণার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে।


বুধবার (৯ এপ্রিল) ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারী (শিক্ষক) কর্তৃক অর্জিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ’ শীর্ষক একাডেমিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাছুমা হাবিব এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো ভালো গবেষণা হচ্ছে। এসব গবেষণার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা এগিয়ে যাবে।


শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিতে শিক্ষক ও গবেষকদের আহ্বান জানান অধ্যাপক মাছুমা হাবিব। 


তিনি বলেন, গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা উপকৃত হন। মানসম্মত জার্নালে গবেষণার ফলাফল প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষক ও গবেষকদের এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে ইউজিসি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে।


আরও পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসির


ইউজিসির রিসার্চ গ্রান্টস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ডিভিশনের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. দূর্গা রানী সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।


তিনি বলেন, পরিবর্তিত বাংলাদেশে স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের এসব গবেষণা ফলাফল জাতির কল্যাণ সত্যিই কাজে লাগবে। নতুন জ্ঞান তৈরিতে এসব গবেষণা অনবদ্য অবদান রাখবে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী এসব শিক্ষকদের অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে-এমন কলেজে পদায়নে মাউশিকে ইউজিসি সুপারিশ করা হবে।


সেমিনারে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস, ইআবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ তৌফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ ও অধ্যাপক মাহবুবা জাহান এবং শেকৃবির অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন বিষয়-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন