ক’দিন আগেই আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। তার আগে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা। টানা চার সিরিজ পর এবার ঘরের মাঠে হারের স্বাদ পেলো লাল-সবুজের দল।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বুধবার (২৯ অক্টোবর) টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় উইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুরই আভাস দিয়েছিল টাইগাররা। তবে ঘুরে দাঁড়াতেও সময় নেয়নি সফরকারীরা।
আথানেজ-হোপ জুটি থেকেই আসে ১০৫ রান। তবে শেষ দিকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪৯ রানেই থামে তাদের উইন্ডিজের ইনিংস।
দেড়শ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে জেসন হোল্ডারের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন সাইফ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে মাত্র ৫ রান।
আরও পড়ুন: রিজওয়ানকে নিয়ে বড় বিতর্কের মুখে পাকিস্তান
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় লিটন ও তানজিদ। কিন্তু দলীয় ৪৮ রানের মাথায় আকিল হোসেনের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৩ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তানজিদ। ১৪ বলে ১২ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে সিলস-এর হাতে ক্যাচ দিয়ে হৃদয় ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৭ রানের জুটি।
জাকের আলীকে নিয়েও ৩২ রানের জুটি গড়েন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ। ৪৮ বলে ৬১ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর আর কোনো জুটি গড়ে তুলতে পারেনি কেউ। একে একে ব্যর্থ হয়েছেন জাকের, শামীম, রিশাদরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
উইন্ডিজের হয়ে রোমারিও শেফার্ড ও আকিল হোসেন নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ২টি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। আলিক আথানেজের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক শাই হোপ। ৫৯ বলেই ১০৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: ১৫০ ছক্কায় সূর্যকুমার দ্বিতীয় দ্রুততম
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর চাপ তৈরি করেন নাসুম আহমেদ। নাসুম তার প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। ১২ রান দেওয়ার পর ইনিংসের অষ্টম ও দশম ওভারে দেন যথাক্রমে ৯ ও ১১ রান। নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে প্রথম বলে দেন এক রান। আর দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন আথানেজের উইকেট।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৫২ রান করেন আথানেজ। পরের বলেই শেরফান রাদারফোর্ডের উইকেট তুলে নেন নাসুম। গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন মিডলঅর্ডার এই ব্যাটার। আগের ম্যাচেও ডাক মেরেছিলেন তিনি।
পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান তুলে নেন আথানাজের সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি গড়া হোপের উইকেট। ৩৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন অধিনায়ক।
এরপর আর বাকিদের কেউই তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। রোস্টন চেজ অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ১৭ রান করে। আর রোমারিও শেফার্ড করেন ১৬ বলে ১৩ রান। তা ছাড়া বাকিদের মধ্যে আর কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর নিয়েছেন ৩ উইকেট। রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন ১টি উইকেট।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·