এ মসজিদটিতে ৭০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন

৪ সপ্তাহ আগে ১০
লাহোর পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী। প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ এ শহরটি। এ শহরের বাহরিয়া টাউনে অবস্থিত গ্র্যান্ড জামে মসজিদ লাহোর। এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লি। মসজিদটি পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম ও বিশ্বের চৌদ্দতম বৃহত্তম মসজিদ এটি।

জানা যায়, পাকিস্তানের বিখ্যাত আর্কিটেকচার নাইয়ার আলী দাদা মসজিদটির নকশা করেছেন। ২০১৪ সালের ৬ অক্টোবর, ঈদ উল-আজহায় গ্র্যান্ড জামে মসজিদ লাহোরের উদ্বোধন করা হয়।

 

মসজিদটির ভিতরে ২৫ হাজার, বারান্দা ও আশপাশের নামাজের জায়গা মিলে মোট ৭০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বাদশাহী মসজিদ, ওয়াজির খান মসজিদ ও শেখ জায়েদ মসজিদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। এ মসজিদ নির্মাণে প্রায় ৩৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: হাজার বছরের এ মসজিদে সিন্নি খাওয়ালে জুড়ায় প্রাণ!

 

মসজিদের চারটি মিনার আছে। প্রতিটি ১৬৫ ফুট উঁচু, মাঝে একটি বিশাল গম্বুজ যার চারদিকে ২০ টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। বাইরের অংশটি ৪ মিলিয়ন হস্তনির্মিত মুলতানি টাইলস দিয়ে সজ্জিত। ভিতরের অংশটি তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত কাস্টম-তৈরি কার্পেট ও ইরান থেকে আমদানিকৃত ৫০ টিরও বেশি ঝাড়বাতি দিয়ে সাজিয়েছে।

 

 

এক তলায় আছে একটি ইসলামি ঐতিহ্য জাদুঘর। এ জাদুঘরে দুর্লভ কোরআনের সংগ্রহ, ইসলামি গ্রন্থাগার ও বিভিন্ন প্রাচীন হস্তনির্মিত নিদর্শনসমূহ রাখা হয়েছে। চার মিলিয়নেরও বেশি মুলতানি হস্তশিল্পের মোজাইক টাইলস মসজিদে ব্যবহার করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমেও মসজিদটি থাকে প্রাকৃতিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত!

 

স্থাপত্যটি পুরোপুরি স্থানীয় উপকরণে তৈরি। আধুনিক উপাদানগুলোর সমৃদ্ধ সংমিশ্রণে ইন্দো-ইসলামি স্থাপত্যের প্রকৃত মর্মকে প্রতিফলিত করে এ মসজিদের ডিজাইন। উপ-মহাদেশের অনেক মসজিদে পারস্যরীতির বাগান বিন্যাস দেখা যায়।

 

এ মসজিদেও চতুর্ভুজ আকৃতির বাগান চারটি চলারপথ দিয়ে চারটি অংশে বিভক্ত। যার মাঝখানে একটি সুন্দর ঝর্ণা আছে। যা এ গ্র্যান্ড মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন