বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে পরাশক্তি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানি কিংবা ফ্রান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাম। এমনটা আপনাকে অবাক করলেও স্বপ্ন দেখতে নেই মানা। আর মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয়া নারী ফুটবল দল সেই স্বপ্নই দেখাচ্ছে দেশের কোটি ফুটবল ভক্তদের।
কিছুদিন আগেও যাদের স্বপ্ন ছিল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা। সেই লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে আফঈদা খন্দকারের দল। এবার চাই বিশ্বকাপের টিকিটও। মেগা ইভেন্টে জায়গা করে নিতে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না বাফুফের নারী ফুটবল কমিটি। ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের আগে সবগুলো উইন্ডো কাজে লাগাতে চায় বাফুফে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা যে কয় মাস এখন পাব, আমি সেটাকে সেভাবে কাজে লাগাব। পিটারের (বাটলার) সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে (এশিয়ান কাপে) প্রথম ছয়ের ভেতরে যাওয়া। আমার অনেক বেশি স্বপ্ন বিশ্বকাপ খেলা। আমরা অনেক বেশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। এ সময়ের ভেতর বেশকিছু শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলব, নিজেদেরকে প্রস্তুত করার জন্য, ঝালাই করার জন্য। যাতে ওই জায়গাটাতে গিয়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ
মিয়ানমারের বিপক্ষে লাল সবুজদের জয়ের গল্পে মূল চরিত্র ঋতুপর্ণা চাকমা। এই ফরোয়ার্ডকে বাংলার মেসি হিসেবে আখ্যা দিলেন বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘ঋতু হচ্ছে বাংলাদেশের মেসি, আমি এতটুকু বলতে পারব। হামজা অনেক ভালো ফুটবলার, কোনো সন্দেহ নেই এখানে। হামজাও আমাদের দেশের জন্য গর্বের।’
নারী ফুটবলের এই যাত্রায় হেড কোচ পিটার বাটলারের অবদান ভুলেনি ফেডারেশন। এই ইংলিশ কোচের শেখানো কৌশল, শৃঙ্খলা ও শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা বদলে দিয়েছে মনিকা-মারিয়া-তহুরাদের।
কিরণ বলেন, ‘ধন্যবাদ, পিটার বাটলারকে। সে অনেক ভালো কোচ। সে জানে কীভাবে ডাগআউট থেকে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। সে সেই কাজটিই করেছে।’
আরও পড়ুন: ঋতুপর্ণাদের সামনে এবার ফিফা বিশ্বকাপের হাতছানি
প্রথমবারের মতো নারী দল এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করায় আবেগাপ্লুত দীর্ঘদিন নারী উইং নিয়ে কাজ করা এই কর্মকর্তা। এই সাফল্যের নেপথ্যের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান।
]]>