ক্রীড়াঙ্গণে বড় অবদান আছে দেশের উত্তরাঞ্চলের। যেখান থেকে উঠে এসেছে ক্রিকেট-ফুটবল-হকি-কাবাডির কিংবদন্তি অনেক ক্রীড়াবিদ। কিন্তু গেল ১৫ বছর এই উত্তরাঞ্চল ক্রীড়াক্ষেত্রেও ছিল অবহেলিত।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ হলেও, উত্তরবঙ্গের ক্রীড়াপ্রেমিদের লাল-সবুজের বড় কোনো ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়নি। অথচ বগুড়ায় আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
২০০৬ সালে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। যে ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে রেকর্ডও সমৃদ্ধ। ৫ ওয়ানডের ৪টিতেই আছে জয়। কিন্তু শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে ২০০৬ সালের পর এই ভেন্যুতে হয়নি জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ। সবশেষ ২০০৯ সালে নারী ও যুব দলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল বগুড়ায়। ভালোমানের পিচ থাকায় বাংলা টাইগার্স-এইচপির ক্যাম্প হলে, অনুষ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া-ভারতের ম্যাচে বাংলাদেশি আম্পায়ার
একই অবস্থা রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের। ২০২৩ সালে যুব ওয়ানডে হওয়ার পর আর কোনো ম্যাচ সেখানে হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রংপুরের ক্রিকেট গার্ডেনেরও বেহাল দশা।
তবে নতুন বাংলাদেশে, পরিবর্তন ছোঁয়া লেগেছে সবকিছুতেই। দিনের পর দিন অবহেলিত দেশের উত্তরবঙ্গের ক্রীড়াঙ্গণে সুনজর দিয়েছে বর্তমান সরকার। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, উত্তরাঞ্চলে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। হবে বিপিএলের ম্যাচও।
আসিফ বলেন, ‘আপনাদের একটি দাবি ছিল এবং আমি অনুধাবন করেছি। আপনারা জানেন, এবার বিপিএল তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন করা হচ্ছে। ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, আমরা উত্তরবঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করব। আশা করি আগামী বছরের বিপিএল আমরা উত্তরবঙ্গে আয়োজন করতে পারব।’
আরও পড়ুন: যুবাদের হকি বিশ্বকাপ নিয়ে ফেডারেশনের বড় পরিকল্পনা
অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে উত্তরবঙ্গ থেকে উঠে আসবে আরও প্রতিবাভান ক্রীড়াবিদ, এমন প্রত্যাশা করাই যায়।
]]>