সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে, একই উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় ও মহিপুরের ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন: অলোক সরকার (২০) উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের হিন্দু পানিসাড়া গ্রামের বাসিন্দা, উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় শরিফুল ইসলাম (৩২) ও তার মেয়ে সেজদা (৩)।
আহতরা হলেন: শেরপুরের হিন্দু পানিসাড়া গ্রামের জয়ন্ত সরকার (২০), শুভ সরকার (১৯), মো. লিখন (২৮) ও মো. জীবন (৩০)।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, বাবা-মেয়ে নিহত
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু বেড়াতে যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক অলোক সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। এই দুর্ঘটনায় আহত জয়ন্ত সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত শুভ সরকারের চিকিৎসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে।
এ দিকে শরিফুল ইসলাম মেয়ে সেজদাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মহাসড়কের পশ্চিমপাড় থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এ সময় বাবা ও মেয়েকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ৩
অন্যদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া থেকে ঢাকা লেনে প্রবেশের মুখে একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে মো. লিখন ও মো. জীবন নামে দুই যুবক আহত হন। তাদের উদ্ধার করেন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। পরে চিকিৎসার জন্য তাদের নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল খালেক ও শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।