ঈদের ছুটিতে হার্টের রোগীদের ৫ সতর্কতা

৩ সপ্তাহ আগে
ঈদের ছুটিতে হার্টের রোগীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেয়া জরুরি, কারণ এই সময় খাবার, ঘুম ও দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আসতে পারে।

দেখে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা-


১. খাবারের বিষয়ে সতর্কতা: ঈদে সাধারণত তেল-চর্বিযুক্ত ও মিষ্টি খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে হার্টের রোগীদের জন্য এই ধরনের খাবার বিপজ্জনক হতে পারে। তাই— লাল মাংসের বদলে মাছ ও চর্বিহীন মাংস খান। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। প্রচুর শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খান।


২. ওষুধ খেতে ভুলবেন না: ঈদের ব্যস্ততায় অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খেতে ভুলে যান, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সবসময় সঙ্গে ওষুধ রাখুন। ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক রাখুন। প্রয়োজনে অ্যালার্ম বা রিমাইন্ডার সেট করুন।

 

আরও পড়ুন: হার্টের ব্যথা নাকি গ্যাস্ট্রিকের? দেখুন বোঝার উপায়


৩. চাপ ও অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন: ঈদের সময় বাড়তি কাজ, বেড়ানো ও অতিরিক্ত ব্যস্ততা হার্টের ওপর বাড়তি চাপ ফেলতে পারে। অতিরিক্ত কাজ বা দৌড়ঝাঁপ থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন ও পর্যাপ্ত ঘুমান। মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।


৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: গরমের দিনে পর্যাপ্ত পানি না খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। অতিরিক্ত কফি ও চা পান এড়িয়ে চলুন। শরীর যদি দুর্বল লাগে, দ্রুত বিশ্রাম নিন ও পানি পান করুন।


৫. জরুরি নম্বর ও ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখুন: হার্টের রোগীদের জন্য জরুরি মুহূর্তে দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শে জরুরি ওষুধ সঙ্গে রাখুন। পরিবারের সদস্যদের জরুরি পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তা জানিয়ে দিন। নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নম্বর সংরক্ষণ করে রাখুন।

 

আরও পড়ুন: হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সিপিআর, জানুন নিয়ম


এই সতর্কতা অনুসরণ করলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা সহজ হবে এবং হার্টের সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন