টাইগারদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে ম্যাচের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দেশের অন্যতম সেরা কোচ মানা হয় সারোয়ার ইমরানকে। কদিন আগে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের দায়িত্বে। এবার সেই কোচ নিগারদের সঙ্গে যাচ্ছেন প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে।
বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিতে এদিন পাকিস্তানের পথ ধরেছে বাংলাদেশ। সবার আগে বিমান বন্দরে হাজির কোচিং স্টাফের সদস্যরা। কঠিন মিশনের জন্য দলের সঙ্গে বিসিবি যুক্ত করেছে ডেভিড হেম্পকে। তার পরামর্শ আর সারোয়ার ইমরান দীক্ষা নিয়ে দলও প্রস্তুতি নিয়েছে বেশ ভালোভাবে। দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হেড কোচ।
সরোয়ার ইমরান বলেন, ‘প্রস্তুতির একটা অংশ ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। প্রিমিয়ার লিগ সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। যে মেয়েগুলো পারফরম্যান্স করেছে তারাই টিমে এসেছে। লাস্ট ৮–১০ দিন আমরা প্র্যাকটিস করেছি, ঈদের দিনও ছুটি ছিল না। প্রিপারেশনের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেটারদের ঈদ কাটলো বিসিবিতে
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশেকে খেলতে হবে মোট ৫ ম্যাচ। লড়তে হবে থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে, তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন সারোয়ার ইমরান। পাকিস্তানের ব্যটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে বোলারদেরও প্রস্তুত করেছেন ভালোভাবে।
সরোয়ার বলেন, ‘দুটি স্ট্রং টিম আছে আমাদের সঙ্গে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। অন্য দলগুলোকেও ছোট করে দেখছি না। পাঁচ ম্যাচ, আমরা সবগুলো জিততে চাই। ব্যাটিং উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, আর বোলিং উইকেটে কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে; সব কিছু নিয়ে আমরা প্র্যাকটিস করেছি।’
পাকিস্তান গিয়ে বেশ কয়েকটি প্র্যাক্টিস সেশন করবে বাংলাদেশ। আগামী ১০ এপ্রিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মূল পর্বে যাওয়ার মিশন শুরু করবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।