স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি কামান হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে একটি মেডিকেল সূত্র আনাদোলু এজেন্সিকে জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের আল-শাবুরা শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বোমা হামলায় এক ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
এছাড়া, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের পূর্বে কিজান আন-নাজ্জার এলাকায় বেশ কয়েকজনকে বহনকারী একটি গাধা-টানা গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: মিশর ও কাতারের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস!
সিভিল ডিফেন্স বলছে, গাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া পাড়ার মিশতাহা স্ট্রিটে বেসামরিক নাগরিকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
উত্তর গাজা উপত্যকায়, বেইত লাহিয়া শহরের আল-মানশিয়া স্ট্রিটে ইসরাইলি কামান একটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গাজার বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যে ইসরাইলি কামান হামলার কথা জানিয়েছেন। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে বেইত লাহিয়া, রাফাহর পশ্চিম অংশ, মধ্য গাজা এবং গাজা শহরের পূর্বাঞ্চল।
আরও পড়ুন: গাজায় মজুত আছে আর মাত্র ১৪ দিনের খাদ্য!
যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে, গত ১৮ মার্চ ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আকস্মিক বিমান হামলা চালায়। এতে ৯২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২ হাজার জনেরও বেশি আহত হন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর নৃশংস আক্রমণে ৫০,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি