বৈষম্যমুক্ত সুষম সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি মহানবী সা.-এর শিক্ষানুযায়ী দায়িত্ব আদায়ে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রোববার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতারা বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ মুসলমানদের মাঝে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। তাকওয়ার গুণাবলি অর্জনে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য অনেক বেশি। তাকওয়ার গুণাবলি একজন ব্যক্তিকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর বিধান অনুসরণে অনুপ্রাণিত করে। ধনী-গরিব সব শ্রেণির মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত সংগ্রামীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জানাই। শাপলা-গণহত্যা, ২০২১-এর মোদিবিরোধী আন্দোলন ও সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আল্লাহর বিধান, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য লড়াই করেছেন, তাদের সাহস ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানালেন চরমোনাই পীর
গাজায় চলমান গণহত্যার শিকার নিরপরাধ মানুষের প্রতি গভীর সংহতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে তারা বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যার শিকার নিরপরাধ মানুষের প্রতি আমাদের গভীর সংহতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। দখলদার বাহিনীর নির্মম হামলায় শিশু, নারী ও সাধারণ মানুষের যে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা এই নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এই ঈদ আমাদের জন্য শুধুই আনন্দের বার্তা নয়; বরং এটি অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতিজ্ঞা নেয়ার সময়। এই ঈদ শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নতুন শক্তি জোগাবে।