২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন শুরুর হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর থেকে হুতি লোহিত সাগর ও এর আশপাশের সমুদ্র অঞ্চলে ইসরাইল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার পাশাপাশি ইসরাইলেও হামলা চালিয়ে আসছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ করে দেয় হুতি। কিন্তু গত মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাঁধা এবং নতুন করে আগ্রাসন শুরুর জবাবে ইসরাইলে ফের হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।
জবাবে গোষ্ঠীটির ওপর হামলা শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। সবশেষ হামলা চালানো হয় গত বৃহস্পতিবার। হামলাটি ছিল গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। হুতির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জানান, বৃহস্পতিবারের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে তেহরানে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, হুতি গোষ্ঠীর জ্বালানি ও আয়ের উৎস নির্মূলের লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, মার্কিন বিমান হামলা বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে বেশিরভাগই বন্দরের স্থাপনার আশেপাশে চালানো হয়।
আল-আত্তাব আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং রাস ইসার কৌশলগত গুরুত্বের কারণে এই হামলা ইয়েমেনজুড়ে ব্যাপক নিন্দার জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তথ্যানুযায়ী, রাস ইসা ইয়েমেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। দেশটির আমদানির প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মানবিক সহায়তার ৮০ শতাংশ এই বন্দর দিয়ে আসে।
হামলার পর হুতিদের সতর্ক করে ওয়াশিংটন জানিয়ছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর সশস্ত্র হামলা বন্ধের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে। ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মারাত্মক হামলা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই: ট্রাম্প
]]>