বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে দুর্নীতি এবং একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে আটক করা হয়। দেশটির প্রধান বিরোধী দল এই পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ হিসেবে নিন্দা করেছে।
ইমামোগলুর আটকের পর চার দিনের জন্য সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তুরস্ক সরকার। তা সত্ত্বেও, ইস্তাম্বুল এবং রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। এ সময় তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন:গাজায় ইসরাইলের হামলায় তিন দিনে নিহত ৭১০ ফিলিস্তিনি
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ‘ইমামোগলুকে আটকের পর ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তুর্কি কর্তৃপক্ষ ২৬১টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ৬২টি বিদেশের। সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইমামোগলুকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক্স-এ ১ কোটি ৮৬ লাখ পোস্ট শেয়ার হয়েছে। কিছু জনমত জরিপে দেখা গেছে ৫৪ বছর বয়সি জনপ্রিয় এই ব্যক্তি এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে আছেন।’
এর আগে একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতার করায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে তুরস্ক। প্রধান শহরগুলোর রাস্তাঘাট পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, অন্যায়ভাবে ও মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান বিক্ষোভারীরা।
আরও পড়ুন:ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু গ্রেফতার
সূত্র: রয়টার্স
]]>