সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ছিল ফিলিস্তিনিদের ৭৭তম নাকবা দিবস, যার অর্থ বিপর্যয়। আর এদিনই গাজাজুড়ে চলে ইসরাইলের আগ্রাসন।
এদিকে গাজার প্রায় ৩৫ শতাংশ এলাকা এখন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরাইলি বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উপত্যকায় ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণ বেড়েই চলেছে ইসরাইলের। এরইমধ্যে, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণে দুই কিলোমিটারের বেশি প্রশস্ত বাফার জোন তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ জানায়, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণে ২ কিলোমিটারের বেশি প্রশস্ত বাফার জোন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারের উপত্যকার প্রায় ৩৫ শতাংশ এখন ইসরাইলের দখলে। সামরিক পোস্ট, করিডোর ও ঘাঁটির নামে চলছে নতুন সীমান্ত তৈরি।
আরও পড়ুন: ‘পূর্ণশক্তি’ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে ইসরাইল: নেতানিয়াহু
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, রাফার ফিলাডেলফি করিডোর থেকে মরাগ এক্সিস পর্যন্ত পুরো রাফাহ শহর এখন ইসরাইলি বাহিনীর ‘অপারেশনাল কন্ট্রোলে’। শুধু জেনেইনা নামের একটি এলাকা বাদে শহরটির আর কোনো অংশ ফিলিস্তিনিদের অধীনে নেই।
স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াকভ গার্ব জানান, ১৫টি বড় সামরিক পোস্ট তৈরি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আরও ৫টি করিডোর গাজাজুড়ে নির্মাণাধীন।
গাজা সিটির শাজাইয়া, তুফাহ, এবং উত্তরে বেইত হানুন ও বেইত লাহিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায়ও সেনা মোতায়েন রয়েছে ইসরাইলের।
]]>