ইসরাইলি হামলায় গাজা ও লেবাননে নিহত ৩৯

৩ সপ্তাহ আগে
ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় একদিনে আরও ৩২ জন নিহত হয়েছেন। তেল আবিবের একের পর এক হামলায় গাজার হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। অন্যদিকে লেবাননের ছোঁড়া রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

শনিবার গাজার বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, সন্তানসহ মোট পাঁচজন সদস্য নিহত হন।

 

একই দিন দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছে হামলা চালিয়েছেন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা / ‘নতুন যুদ্ধে’ জড়ানোর সতর্কবার্তা লেবাননের

 

ইসরাইলের অব্যাহত হামলার জেরে তীব্র সংকটে ভুগছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলো। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী ও শয্যার অভাবে প্রায় অকেজো উপত্যকাটির চিকিৎসাব্যবস্থা। মেমাদানি হাসপাতাল, যা গাজার অন্যতম প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র, বর্তমানে আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অনেক রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না।

 

এদিকে, ইসরাইলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটি লক্ষ্য করে শনিবার সকালে ছয়টি রকেট ছোড়া হয়। এর মধ্যে তিনটি সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। এসব রকেট হামলা প্রতিহত করে ইসরাইলি বাহিনী।

 

রকেট হামলার জবাবে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্ততসাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা / গাজায় আরও ৫ শিশু নিহত

 

তেল আবিবের বিমানবাহিনীর দাবি, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারে আক্রমণ করেছে।

 

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, লেবানন সরকারকে প্রতিটি রকেট হামলার জবাব দেয়া হবে। এছাড়া ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করতেই গাজাজুড়ে নতুন সামরিক হামলা শুরু করা হয়েছে।

 

এদিকে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরাইলে কোনো হামলা চালায়নি। এসব হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যুদ্ধবিরতিও মেনে চলছে তারা। যদিও শনিবার ইসরাইলের রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সশস্ত্রগোষ্ঠী বা সংগঠন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন