ইসরাইলি অভিযানের পর বন্ধ হয়ে গেল কামাল আদওয়ান হাসপাতাল

১ সপ্তাহে আগে
ইসরাইলের অমানবিক আগ্রাসনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল গাজার উত্তরাঞ্চলের শেষ হাসপাতাল কামাল আদওয়ানের সেবা কার্যক্রম। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের পর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এখন পুরোপুরি ফাঁকা। নেই কোনো স্বাস্থ্যকর্মী, নেই কোনো রোগী।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ কারণে উত্তর গাজার স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে।


ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা এবং উত্তর গাজায় ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা অবরোধ এই অঞ্চলে থাকা ৭৫ হাজার অবশিষ্ট ফিলিস্তিনির জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে চরম বিপাকে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার ৭০ সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাঠাল লেবানন

 

অন্যদিকে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও।

 

ওয়াফা সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনিবার গাজা জুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা।


এদিন, গাজা থেকে জেরুজালেমের দিকে দু'টি দূরপাল্লার রকেট ছোড়া হয়েছে। রকেট প্রতিহত করার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তেল আবিব। তবে হামলায় কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর হামলা ফিলিস্তিনিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সামিল: ডব্লিউএইচও

 

এদিকে, গাজার যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে তেল আবিবে হাজারো মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং গাজায় হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর সরকারের যুদ্ধ পরিচালনা নীতির বিরোধিতা করে তেল আবিবের রাস্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলিরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন