ওয়াল্টজ সিবিএস নিউজের ফেস দ্য নেশন প্রোগ্রামে বলেন, ‘পুরোপুরি সরে আসতে হবে। ইরানকে তার কর্মসূচি এমনভাবে বন্ধ করতে হবে যাতে পুরো বিশ্ব দেখতে পায়।’
চলতি মাসের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চিঠি পাঠানোর পর এই মন্তব্য করলেন ওয়াল্টজ। চিঠিতে তেহরান যাতে পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জন করতে না পারে সেজন্য একটি চুক্তির আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন:ইরান সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের চাওয়া গুরুত্বহীন: আরাঘচি
কিন্তু তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের এই মন্তব্য উড়িয়ে দেন খামেনি।
এদিকে ওয়াল্টজ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন বলেছেন, ইরানের সামনে সব বিকল্প খোলা আছে। এখনই সময় তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আকাঙ্ক্ষা থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে আসার।
তিনি যুক্তি দেন, ‘যদি ইরানের কাছে যদি পারমাণবিক অস্ত্র থাকত, তাহলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ফেটে পড়ত। এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, ‘পুরোপুরি বন্ধ কর। নাহলে পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
২০১৮ সালে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহারের পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পারমাণবিক চুক্তি মেনে চলা সত্ত্বেও, ইরান ধীরে ধীরে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে।
আরও পড়ুন:পরমাণু চুক্তির জন্য ইরানকে দুই মাস সময় দিলেন ট্রাম্প
২০১৫ সালে ইরানের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি।
এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।
সূত্র: আনাদোলু
]]>