ইরান ও সৌদি আরব: বিভেদ ভুলে ঐক্যের পথে

৩ সপ্তাহ আগে
নিজেদের পুরনো সব ক্ষোভ কবর দেয়ার সময় এসেছে ইরান এবং সৌদি আরবের। চীনের মধ্যস্থতায় তাদের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা নষ্ট করা উচিত নয়, কারণ এটি কেবল বিশ্বকে অবাকই করেনি বরং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিকেও নতুন রূপ দিয়েছে, যা এই বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, ইসরাইল ছাড়া, শিয়া এবং সুন্নিরা ‘কুকুর-বিড়ালের মতো’ লড়াই চালিয়ে যাবে।

ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে পুনর্মিলন সমগ্র অঞ্চলজুড়ে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রেমীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে। বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন; কয়েক দশক ধরে প্রকাশ্য ও গোপন শত্রুতার পর, এটি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে তাদের মতপার্থক্য নিরসনের জন্য মুখোমুখি করেছে।

 

শুধু তাই নয়, এটি উভয় পক্ষকে বিরতি নেয়ার, আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের, আস্থা গভীর করার একটি বিরল সুযোগ দিয়েছে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে, সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটাতে, রাজনৈতিক সীমানা নির্ধারণ করতে, অথবা তেল-পরবর্তী বৈচিত্র্য অর্জনের বিষয়ে যৌথ প্ল্যাটফর্মও দিয়েছে।

 

যেহেতু উভয়ই পক্ষই নেতৃত্ব চায়, তাই রিয়াদ এবং তেহরানকে একসাথে কাজ করতে হবে। আজ তাদের চ্যালেঞ্জগুলো অভিন্ন এবং এটি উপেক্ষার মূল্য অনেক বেশি। উভয়েরই গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শিকড় রয়েছে, যা তাদের উপকারে আসতে পারে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতার হাত বাড়ালে।

 

এমনকি যদি তারা কেবল ‘শান্তি’র ধারণার ওপরেও একমত হয়, তাতেই এটি তাদের জনগণ, এমনকি সমগ্র বিশ্বের জন্য সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা এবং কল্যাণের আকারে সুফল বয়ে আনতে পারে।

 

ইরানকে সবশেষ ‘অনুন্নত’ দেশ হিসেবে পরিচিত করা হয়, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী কিছু বৈচিত্র্যময় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরব। উভয় দেশেরই প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এগুলো বিদেশে পাঠানোর পরিবর্তে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত প্রকল্পে একসাথে কাজ করার জন্য একটি পারস্পরিক উপকারী বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে।

 

এই সহযোগিতামূলক মডেলটি সহজেই অন্যান্য দেশেও সম্প্রসারিত করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে জিসিসি, আরব লীগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলো। এ ধরনের মডেল প্রতিযোগিতা নয় পরিপূরকতার ওপর, শোষণ নয় সহযোগিতার ওপর এবং বিচ্ছিন্নতার ওপর নয়, ভাগ করে নেয়া সুবিধার ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।

 

সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল একে অপরের জন্যই নয়, বরং ইসলামের ভাবমূর্তি এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্যও ক্ষতিকর। শত্রুরা ধর্ম ও আদর্শকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মুসলমানদের বিভক্ত করতে, সীমানা পুনর্নির্মাণ করতে এবং অবিশ্বাস ও ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে। যেহেতু ইসলাম একটি বৈশ্বিক ধর্ম, তাই এই বিভাজন এবং ভুল বোঝাবুঝি সীমানা অতিক্রম করেছে এবং সর্বত্র বিশ্বাসীদের মনকে বিষাক্ত করে তুলেছে। ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সাম্প্রদায়িক সংঘাত মুসলমানদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ঠেলে দিয়ে, ইসলামের শত্রুদের এটিকে ‘হিংসাত্মক এবং চরমপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।

 

উভয় দেশই মাদ্রাসাগুলোকে অর্থায়ন করেছে, ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ইসলামের তাদের রাজনৈতিক সংস্করণকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য সাহিত্যও প্রকাশ করেছে। কয়েক দশক ধরে এভাবে কাজ করার পর, ইসলামকে ভুল বোঝে এমন একটি বলয় ছাড়া তারা খুব কিছু অর্জন করতে পারেনি। বড় দুঃখের বিষয় হলো, এই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ অন্য যে কারও চেয়ে মুসলমানরাই বেশি মুসলমানকে হত্যা করেছে।

 

তবু প্রশ্ন থেকে গেছে- কেন মুসলিম শাসক এবং অভিজাতরা তাদের নিজস্ব সমাজের ক্ষতি করে চলেছে, এমনকি বৈধ দাবিগুলো দমন করার জন্য বিদেশি শক্তিগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে? উত্তর সহজ - ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং সম্পদ ও বিলাসিতা উপভোগ করা।

 

কীভাবে তারা এক হতে পারে?

 

সময় বদলে গেছে। কয়েক দশক ধরে প্রক্সি যুদ্ধের পর, উভয় পক্ষকেই বুঝতে হবে যে তারা কেউই একে অপরকে ধ্বংস করতে পারবে না। যদি তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অব্যাহত রাখে এবং বিভাজন উপেক্ষা করে, তাহলে তারা আর কখনো তাদের ভুল সংশোধনের সুযোগ পাবে না।

 

তাদের অর্থনীতিও পরিবর্তিত হচ্ছে। বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতিও আগের মতো নেই। একসময় আমদানির ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র এখন তেল ও গ্যাসের নিট রফতানিকারক। তারা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানের মতো প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করছে। এছাড়া ট্রাম্পের অধীনে, ওয়াশিংটন তার বাণিজ্য অংশীদারদের মার্কিন তেল ও গ্যাস আমদানি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাধ্য করছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোকে মার্কিন জ্বালানি কিনতে চাপ দেয়া হচ্ছে, যার ফলে উপসাগরীয় অঞ্চলের বাজারের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাচ্ছে।

 

একই সময়ে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা মস্কোকে তার তেল ও গ্যাস রফতানি এশিয়ায় সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে। যার ফলে এশিয়ার জ্বালানি বাজারেও বেড়েছে প্রতিযোগিতা। তেলের চালান রক্ষার জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নৌ উপস্থিতি আরও বাড়াতে পারে, যা বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে সামুদ্রিক উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়াবে।

 

ইউরোপের মতো, বিভেদ ভুলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানমূলক প্রজ্ঞার প্রয়োজন আজ মধ্যপ্রাচ্যেরও। সৌদি আরব, ইরান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর একসাথে বসে রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক, আদর্শিক পার্থক্য মোকাবিলা, উত্তেজনা কমাতে এবং চিরতরে বিভেদের অবসান ঘটাতে একটি ছাতা সংস্থা গঠন করা উচিত।

 

তাদের কাছ থেকে কী আশা করা হচ্ছে?

 

এটি ইতিহাসের এক নির্ণায়ক মুহূর্ত। উপসাগরীয় অঞ্চল সমান্তরালভাবে চলমান দুটি পরস্পরবিরোধী প্রবণতার মুখোমুখি হচ্ছে। প্রথমত, ‘সব সম্ভাব্য ফ্রন্টে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি’ এবং দ্বিতীয়ত, ‘বিশাল অর্থনৈতিক, খনিজ এবং নগদ রিজার্ভের স্তূপের ওপর বসে থাকা’।

 

এই সম্পদগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য, দেশগুলোকে সব চ্যালেঞ্জ কমিয়ে আনতে হবে এবং নেতিবাচক বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করতে হয় আস্থা বৃদ্ধি করে, সম্পদ একত্রিত করে এবং অঞ্চল ও তার বাইরের মানুষের কল্যাণের জন্য একটি লাভজনক বাস্তুতন্ত্র তৈরির মাধ্যমে।

 

এখন যা প্রয়োজন তা হলো­– পদক্ষেপ নেয়ার জন্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও নৈতিক অঙ্গীকার। যার মধ্যে আছে:

 

১. ঐক্য ও আস্থা গড়ে তোলা: উভয় পক্ষকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা স্তরে ঐক্য ও আস্থা গড়ে তুলতে হবে। সৌদি আরব ও ইরানকে তিনটি ফ্রন্টে কাজ করতে হবে– দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহির্-আঞ্চলিক।

 

২. দ্বিপাক্ষিক স্তর: তাদের একসাথে বসে পারস্পরিক সুবিধা এবং পার্থক্য উভয়ই সমাধান করা উচিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাদের অবশ্যই পুনর্মিলনের একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে হবে, যেমনটি তারা বেইজিংয়ে করেছিল। এটি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাকে করবে সহজতর।

 

৩. আঞ্চলিক স্তর: বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য উভয়কেই একটি সাধারণ নীতি তৈরি করতে হবে। তাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে ধর্ম এবং আদর্শকে রাজনৈতিক উদ্দেশে অপব্যবহার করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিযোগের সমাধানের জন্য একটি ‘প্যান-রিজিওনাল’ (কোনো ভৌগোলিক অঞ্চল বা দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের ক্ষেত্র, যা সেখানকার সীমানা ছাড়িয়ে বিস্তৃত) পদ্ধতি অপরিহার্য। দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত আবাসন, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়ে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটিও গঠন করা উচিত।

 

৪. আঞ্চলিক স্তরের বাইরে: ইরান-সৌদি উভয়েরই বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোর প্রতি তাদের নীতি স্পষ্ট করা উচিত। তাদের অবশ্যই বহিরাগত শক্তিগুলোকে এই অঞ্চলকে সংঘাতের অঞ্চলে পরিণত করা থেকে বিরত রাখতে হবে এবং এর পরিবর্তে একটি সাধারণ নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। যদি সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ‘ফাইভ আইস’ পরিচালনা করতে পারে, তাহলে আঞ্চলিক দেশগুলো রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করে সংকট প্রতিরোধের জন্য তাদের নিজস্ব সংস্করণও তৈরি করতে পারে। ইসরাইল-গাজা যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে যে সহযোগিতা দেখা গেছে, তা এক্ষেত্রে একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।

 

৫. প্রক্সি এবং প্রযুক্তিগত যুদ্ধ পরিচালনা: এখন ড্রোন এবং প্রক্সি যুদ্ধের যুগ। প্রক্সিদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কারণ তারা প্রায়শই স্বাধীনভাবে কাজ করে কিংবা বহিরাগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। তবুও, জনসাধারণের আস্থা এবং প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সমস্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে।

 

৬. টেলিযোগাযোগ তথ্য নিয়ন্ত্রণ: দেশীয় ও বিদেশি টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই একটি সাধারণ নীতি গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এই সংস্থাগুলো প্রায়শই ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করে, যার ফলে ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর মতো ঘটনা। গাজা যুদ্ধের সময়, ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’- এর দাবি সত্ত্বেও, এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

 

৭. প্রতিরক্ষা চুক্তি: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বহিরাগত অংশীদারদের সাথে স্বাক্ষরিত হওয়া উচিত, যাতে অবিশ্বাস এড়িয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া আরব লীগ, মধ্য এশিয়া, অথবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো প্রতিরক্ষা গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় নিরাপত্তা ইস্যু, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনের ওপর মনোনিবেশ করতে পারে। সামরিক শক্তিই শেষ অবলম্বন হওয়া উচিত, যেখানে নেতৃত্ব দিতে হবে সংলাপ এবং কূটনীতিকে।

 

৮. সাধারণ অর্থনৈতিক বাস্তুতন্ত্র গঠন: জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি এক করতে, বাজার উন্মুক্ত করতে এবং উপসাগরীয় নেতৃত্বাধীন মুসলিম-অনুকূল অর্থনীতিকে উন্নত করতে ৫৭টি দেশের একটি অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিতে পারে রিয়াদ এবং তেহরান। ধনী রাষ্ট্রগুলোর উচিত কেবল খনিজ উত্তোলন নয়, বরং সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলোর শিল্পে বিনিয়োগ করা। এতে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, খরচ কমবে এবং সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

 

৯. সামাজিক ও ধর্মীয় নেটওয়ার্ক তৈরি: প্রতিরক্ষা এবং অর্থনীতির বাইরেও, একটি বৃহত্তর সামাজিক-ধর্মীয় নেটওয়ার্ক প্রয়োজন - যেমন স্বাধীন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি শুরা কাউন্সিল। বিদ্যমান ওআইসি এই ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে ছোট, সমস্যা-কেন্দ্রিক গোষ্ঠীগুলোর একটি নতুন নেটওয়ার্ক আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর আধিপত্য ছাড়াই স্থানীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।

 

কেবল এই অঞ্চল বা দুই বিলিয়ন মুসলিমেরই নয়, অন্তহীন ও ক্লান্তিকর এই সংঘাত থেকে বিরতি প্রয়োজন সমগ্র বিশ্বেরই। 

 

লেখক: মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ।

অনুবাদ: ফয়সাল হাসান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন