বুধবার (১৬ জুলাই) মার্কিন কোম্পানির মালিকানাধীন একটি তেলক্ষেত্রে হামলার একদিন পর স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের তেলক্ষেত্রটিতে এই হামলার খবর এল।
স্থানীয় সন্ত্রাস দমন পরিষেবা জানিয়েছে, তুরস্কের সীমান্তবর্তী জাখো এলাকায় তাওকে এবং পেশকাবুর তেলক্ষেত্র পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ডিএনও’ বিস্ফোরণের পর উৎপাদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ইরাকে সুপার মার্কেটে আগুনে মৃত বেড়ে ৬৯
দুই জ্বালানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহে কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেলক্ষেত্রগুলোতে ড্রোন হামলার ফলে প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন কমে গেছে। অবকাঠামোগত ক্ষতির কারণে একাধিক তেল উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে বুধবার উত্তর ইরাকের দোহুক অঞ্চলে মার্কিন-ভিত্তিক ‘হান্ট অয়েল’ পরিচালিত আইন সিফনি তেলক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ইরাকের সামরিক বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলা!
হান্ট অয়েল জানিয়েছে, তাদের কেউ আহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য তাদের তেল সাইটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইরাকি কুর্দিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে রয়টার্স দাবি করেছে, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে এসেছিল।
সূত্র: রয়টার্স
]]>