প্রতিবেদন মতে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডিক চেনির পরিবার জানিয়েছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে মারা যান চেনি। তিনি নিউমোনিয়া, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালির জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর সময় তার ৬১ বছর বয়সি প্রিয় স্ত্রী লিন, তার মেয়ে লিজ ও মেরি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার কাছেই ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ডিক চেনি একজন মহান এবং ভালো মানুষ ছিলেন যিনি তার সন্তানদের এবং নাতি-নাতনিদের আমাদের দেশকে ভালোবাসতে এবং সাহস, সম্মান, ভালোবাসা ও দয়ার জীবন যাপন করতে শিখিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ৩৫তম দিনে গড়ালো শাটডাউন, মার্কিন বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বিপর্যয়
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে অনেকের কাছে চেনি ছিলেন একজন অতি বিতর্কিত ও বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বহুল বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই সময় বুশ প্রশাসনকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ নামে বিশ্বব্যাপী সংঘাতে জড়াতে প্ররোচিত করেন এবং তার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হয়।
চেনি ছিলেন বুশ প্রশাসনের সেই সব কর্মকর্তাদের অন্যতম যারা নজিরবিহীন এই সংঘাতের আগে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ আছে বলে দাবি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন। যদিও পরে কখনও এ ধরনের কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও চেনি বরাবর নিজের অবস্থানের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন যে, তৎকালীন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাক আক্রমণ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। যার ফলে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হন।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·