বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আবেদনকারীদের তথ্য নতুনভাবে পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো সিরীয়দের আশ্রয় লাভের আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকার সোমবার এক ঘোষণায় সিরীয়দের সে দেশে আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তার বদলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন তাদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠানোর কর্মসূচি হাতে নেয়ার।
আরও পড়ুন:অবিরাম হামলা চালিয়ে সিরিয়ার আত্মরক্ষার ক্ষমতা কেড়ে নিতে চায় ইসরাইল
বেলজিয়াম
শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য নির্বাচিত বেলজিয়ামের কমিশনার জেনারেল জানিয়েছেন, সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং নিপীড়নের ঝুঁকির বিষয়টি মূল্যায়ন করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সিরীয়দের আশ্রয়ের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
যুক্তরাজ্য
সিরিয়ার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য সেখানকার নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে দেশটি। সোমবার একজন সরকারী মুখপাত্র এমনটা জানিয়েছেন।
ক্রোয়েশিয়া
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা সিলীয়দের তাদের দেশে আশ্রয়ের বিষয়টি অস্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে।
চেক রিপাবলিক
সোমবার চেক রিপাবলিকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চেক প্রজাতন্ত্র সিরীয়দের আশ্রয়ের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি বন্ধ রেখেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সেখানে আশ্রয় লাভের জন্য ৩৮ জন সিরীয় আবেদন করেছিল এবং ৩৭ জন মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল।
ফ্রান্স
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারাও বর্তমানে সিরীয়দের আশ্রয় লাভের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।
জার্মানি
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি সিরিয়ার নাগরিকদের আশ্রয়লাভের সমস্ত আবেদন স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন:আসাদের পতন / মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিয়েছে ইসরাইল: নেতানিয়াহু
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ যেমন গ্রিস, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোলান্ড, সুইডেন সিরীয়দের আশ্রয়লাভের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে।