গেলো বছর প্রথমবার আঙুর ও চারা বিক্রি থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে। মসজিদের উন্নয়ন কাজে এ টাকা ব্যয় করেছেন । এ বছর গেলো বছরের চেয়ে ফলন আরও ভালো হয়েছে।
চাষি ছয়দুর রহমান তরফদার ফারুক জানান, এবারে আঙুর আর চারা বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় হবে। তবে কিছু আঙুর বিক্রির টাকা মসজিদে দেবেন। আর বাকি আঙুর গ্রামের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার কথা ভাবছেন।
মৌলভীবাজার জেলায় এই প্রথমবারের মতো আঙুর চাষে সফলতার গল্প জানালেন, শৌখিন এ আঙুর চাষি। শ্রীমঙ্গল দিঘিরপাড় গ্রামের এ চাষি মূলত একজন কৃষক। কৃষির সঙ্গে তার রয়েছে নিবিড় সম্পৃক্ততা। বাড়ির ফসলি জমি ও গ্রামের মসজিদের ছাদে বিভিন্ন সময়ে সবজি বাগান করা ছিল তার শখ। একবার এক সময় ইউটিউবে আঙুর চাষ দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষির পরামর্শে যশোর জেলা থেকে ৪০টি আঙুরের চারা নিয়ে আসেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকের কথা। এ সময় ১৮টি চারা মসজিদের ছাদে এবং বাকি চারাগুলো বাড়ির আঙিনার আশপাশজুড়ে রোপণ করেন। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে কৃষির পরামর্শে পরিচর্যায় নেমে যান। শখের এ আঙুর বাগান এখন পুরোপুরিটাই ডালপালা মেলেছে। বর্তমানে মসজিদের ছাদ ও বাড়ির আঙিনায় তার ৩৫টি আঙুর গাছ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ির আঙিনায় আঙুর চাষ, ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনছেন শরিফুল-মিম দম্পতি
সরেজমিনে আঙুর বাগানে গেলে দেখা যায়, বাঁশের মাচায় সবুজ রঙের থোকা থোকা অসংখ্য আঙুর ঝুলে আছে। চমৎকার এসব আঙুরের গুছা। খেতেও অনেকটা মিষ্টি। তবে চাষি জানালেন, আরও অন্তত পনেরো বিশদিন পর পাকতে শুরু করবে। তখন তিনি এ আঙুর নামাবেন।
শ্রীমঙ্গল কৃষির উপসহকারী মো. সেলিম হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় আঙুর বাগানের কথা জানিয়ে ছয়দুর রহমান তরফদার ফারুক বলেন, ১২৬ প্রজাতির আঙুর রয়েছে। তার ইচ্ছে সিলেটের মাটিতে এসব জাতের আঙুর চাষ করে সবাইকে দেখাতে যে সিলেট অঞ্চলেও আঙুর চাষ হয়।
শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিসের উপসহকারী মো. সেলিম হোসেন জানান, এ আঙুর চাষিকে কৃষি বিভাগ পরামর্শ সব সময় সহায়তা করছে। আগামীতেও তাকে সহযোগিতা করবে।
তিনি জানান, চাষি ছয়দুর রহমান তরফদার ফারুক একজন কর্মশীল মানুষ। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে,অম্লধর্মী মাটি যেখানে পিএইচ মাত্রা পাঁচ দশমিক পাঁচ থেকে সাত দশমিক শূন্য পর্যন্ত রয়েছে। এসব মাটি আঙুর চাষের জন্য ভাল।