এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাট করছে ভারত। আগের দিন ১১৪ রানে অপরাজিত থাকা গিল এদিন মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ১৬৮ রান করেন। বিরতি থেকে ফিরে এসে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। একইসঙ্গে নাম লেখান রেকর্ডেও।
১৯৩২ সালের জুনে ভারত তাদের অভিষেক টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ডে। এরপর গত ৯৩ বছর সেখানে অসংখ্য সিরিজ খেলে তারা। কিন্তু ভারতের কোনো অধিনায়ক-ই ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়তে পারেননি। ১৯৯০ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সর্বোচ্চ ১৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ৩৫ বছর পর তার সে রেকর্ড ভেঙে এখন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটা দখলে নিলেন গিল।
আরও পড়ুন: ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
তবে অধিনায়কের বাইরে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে গিলের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার ও রাহুল দ্রাবিড়। ১৯৭৯ সালে দা ওভালে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৪৪৩ বলে ২২১ রান করেন গাভাস্কার। একই মাঠে ২০০২ সালে ৪৬৮ বলে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেন দ্রাবিড়। এছাড়া দুইশর সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ২০০২ সালে হেডিংলি টেস্টে ১৯৩ রান করে আউট হন তিনি।
টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা ভারতের ষষ্ঠ অধিনায়ক গিল। তার মতো একটি করে ডাবল আছে মানসুর আলি খান পাতৌদি, সুনিল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার ও মাহেন্দ্র সিং ধোনির। বিরাট কোহলির আছে সাতটি, যা কোনো অধিনায়কের বিশ্ব রেকর্ড।
আরও পড়ুন: এজবাস্টনে সেঞ্চুরি করে কোহলি-হাজারেদের পাশে গিল
এদিকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অভিষেকের পর থেকে ৩৩ টেস্ট খেলে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৭টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন গিল। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ১৪৭ রানের। যেটি তিনি লিডসে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইতোমধ্যে তিনি ডাবল হাঁকিয়ে আড়াই’শ ছাড়িয়ে ত্রিপল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
]]>