দুদলের একমাত্র টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল আফগানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৫৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। ২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে হাশমতউল্লাহ শহীদির দল। কিন্তু এবার তারা ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি। আফগানদের ব্যাটিং লাইন আইন ধসিয়ে দেওয়ার পথে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ব্রাড ইভান্স। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফারের দেখা পান রিচার্ড এনগ্রাভা। দুই ইনিংসেই সমান ৩টি করে উইকেট নিয়ে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) প্রথম দিনে আফগানদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল ৩২.৩ ওভার পর্যন্ত। শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও টপ অর্ডারের বিদায়ের পর হঠাৎ বিপর্যয় গড়ে আফগান শিবিরে। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলটি পরবর্তী ৫০ রানে বাকি ৮ উইকেট হারায়। রহমান উল্লাহ গুরবাজের ৩৭ বলে ৩৭, আব্দুল মালিকের ৪০ বলে ৩০ আর ইব্রাহিম জাদরানের ২৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস ছাড়া বাকিদের কেউই দ্যুতি ছড়াতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ টাই করেছে কোন দল?
অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে জবাব দিতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার বেন কারান। ২৫৬ বলে ১৫ চারের মারে ১২১ রানে থামেন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন নিক ওয়েলশ। ৮৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন তিনি। তবে ফিফটি তুলে নেন সিকান্দার রাজা। ৮৮ বলে ৫ চারের মারে সাজানো ছিল তার ৬৫ রানের ইনিংসটি। এছাড়া ৪৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ব্রাড ইভান্স। তাদের কল্যাণে ১০৩ ওভার মোকাবিলা করে ৩৫৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের ৫৯ বলে ৪২ ও বাহির শাহর ৩৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস ছাড়া কেউই তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। ইভান্স, মুজারাবানি ও এনগ্রাভার কাছে দুই ইনিংসে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে আফগানরা। এই তিন পেসার মিলেই ২০ উইকেটের মধ্যে ১৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আড়াই দিনের কম সময়ের এ লড়াইয়ে আফগানিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি অভিষেক টেস্ট খেলা জিয়াউর রহমানের ৭ উইকেট শিকার। ৩২ ওভার বল করে ৪ মেডেন দিয়ে ৯৭ রান খরচায় উইকেটগুলো নিয়েছেন এ পেসার।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চলতি বছরের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত
এ নিয়ে টেস্টে দুদলের পাঁচ দেখায় দ্বিতীয় জয় পেলো জিম্বাবুয়ে। দুই জয় আফগানিস্তানের। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। একটি টেস্ট ছাড়াও জিম্বাবুয়ের এ সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২৯ অক্টোবর।
এদিকে জিম্বাবুয়ে ঘরের মাটিতে ১২ বছর পর টেস্টে জয়ের দেখা পেলো। সবশেষ ২০১৩ সালে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। মাঝে ২১ ম্যাচ খেলে ১৭টি হেরেছিল, আর চারটি ড্র করেছিল।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·