اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ شُكْرًا، وَلَكَ الْمَنُّ فَضْلًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ التَّوْفِيْقَ لِمَحَآبِّكَ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَصِدْقَ التَّوَكُّلِ عَلَيْكَ، وَحُسْنَ الظَّنِّ بِكَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল-হামদু শুকরান, ওয়ালাকাল-মান্নু ফাদলান। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা আত-তাওফিকা লি-মাহাব্বিকা মিনাল-আমালি, ওয়া সিদকাত-তাওয়াক্কুলি আলাইকা, ওয়া হুসনাযযন্নি বিকা।
আরও পড়ুন: মুসলিমকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাহাত্ম্য
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! কৃতজ্ঞতা প্রশংসা আপনারই প্রাপ্য। আর আপনারই দান খাঁটি দয়ার দান।১১৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে তাওফীক চাই ঐসব আমলের, যা আপনার প্রিয় এবং তাওফীক চাই আপনার উপর সত্য ভরসা করার ও আপনার প্রতি সুধারণা পোষণ করার।
অর্থাৎ প্রার্থনা ও উপযুক্ততা ছাড়াই আপনি সকলকে দান করে থাকেন। لَكَ الْحَمْدُ شُكْرًا কৃতজ্ঞতার প্রশংসা...। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতার সাথে আপনার প্রশংসা ও গুণগান আমাদের সকলের উপর অপরিহার্য।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে-হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)
আরও পড়ুন: ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানদের গ্রন্থাগার ব্যবস্থা
হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)