আল্লাহর কাছে যেভাবে রহমত ও ক্ষমা চাইবেন

৪ দিন আগে
আল্লাহ তার বান্দাদের সৎকর্ম করতে উৎসাহিত করেন। মন্দ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেন। আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু, করুণাময় ও ক্ষমাশীল। কোরআন ও হাদিসে অসংখ্যবার তিনি তার দয়া ও ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মানুষকে তার করুণার ছায়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে অনুশোচনার সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ খুশি হন, সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কোরআনে ও হাদিসে দয়া ও ক্ষমার এই মহান গুণাবলির বর্ণনা অসংখ্য আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, যা মানুষকে আল্লাহর করুণার প্রতি আশাবাদী করে তোলে।

 

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, তোমরা যদি প্রকাশ্যে ও গোপনে সৎকাজ করে যাও অথবা যদি কারো মন্দ ব্যবহারকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখো, তাহলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাকারী ও ক্ষমতাবান। (সুরা নিসা ১৪৯)

 

আরও পড়ুন: খারাপ চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া

 

আল্লাহ তাআলা মানুষকে লক্ষ্য করে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমত কামনার বর্ণনা এ মর্মে তুলে ধরেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

 

اِنَّهٗ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡ عِبَادِیۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ আমার বান্দাদের মধ্যে একদল ছিল যারা বলত, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি; সুতরাং তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর দয়া কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন ১০৯)

 

আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের সঠিক পরিমাপ করা কোনো সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয়। নিম্নোক্ত হাদিস থেকে এ বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায়। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ যেদিন রহমত সৃষ্টি করেন, সেদিন এক শ রহমত সৃষ্টি করেছেন।

 

৯৯টি তার কাছে রেখে দিয়েছেন এবং একটি রহমত সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদি কাফির আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত রহমত সম্পর্কে জানে তাহলে সে জান্নাত লাভে নিরাশ হবে না। আর মুমিন যদি আল্লাহর কাছে যে শাস্তি আছে সে সম্পর্কে জানে তা হলে সে জাহান্নাম থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করবে না। (সহিহ বুখারি ৬৪৬৯)

 

মহান আল্লাহ মানুষের প্রতি কতবেশি দয়ালু যে, তিনি মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন; কী করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করবেন এবং দয়া করবেন। ঠিকই মানুষ যদি ঈমান আনে আর আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে-

 

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ উচ্চারণ: রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।

 

অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি; সুতরাং তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও ও আমাদের উপর দয়া কর, তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)

 

আরও পড়ুন: সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

 

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ খুশি হন এবং বান্দার প্রতি দয়া করেন। আল্লাহ বলেন, সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কেন কল্যাণের আগে অকল্যাণ ত্বরান্বিত করতে চাইছ? কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পারো? (সুরা নামল ৪৬)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন