দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতরাজি মুসলিম-অমুসলিম, মুত্তাকি-পাপী সবার জন্য সমান। পার্থিব জীবনে আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ উন্মুক্ত, অফুরান। আর এ জন্যই তিনি রহমান অর্থাৎ অসীম দয়ালু।
কোনো মানুষ যদি আল্লাহ প্রদত্ত কোনো একটা নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জানাতে সারাজীবন সেজদায় পড়ে থাকি তবুও তা যথেষ্ট হবে না। এসব বিষয়ে মানুষের একটু চিন্তা-ভাবনা, জীবনে আল্লাহর আরও অনেক অনুগ্রহ প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে দিতে পারে।
বিষয়টি কোরআনে আল্লাহ বলেছেন এভাবে, ‘তোমরা আমার নেয়ামতরাজির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের জন্য আমার নেয়ামত বাড়িয়ে দেবো।’ (সুরা ইবরাহিম ৭)
আরও পড়ুন: নবীজি যে ৪ আমল কখনো ছাড়তেন না
বর্ণিত আয়াত মানুষকে শিক্ষা দেয়, ছোট-বড় প্রতিটি নেয়ামতের জন্য আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টচিত্তে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুস্থতার জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে আলহামদুলিল্লাহ বলা এবং সময়কে অযথা নষ্ট না করে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করা। ধন-সম্পদের জন্যও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি সামর্থ্যানুযায়ী সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করা।
ইসলামের শিক্ষা হলো- সুখ-দুঃখ, স্বচ্ছলতা-দরিদ্রতা, সুস্থতা-অসুস্থতা তথা সর্বাবস্থায় শোকরগুজার থাকা।
এ বিষয়ে নবীজি (স.)-এর আদর্শ হলো, ‘আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল’ তথা সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা শুধু আল্লাহর জন্য বলা। অর্থাৎ সুখে-দুঃখে জীবনের ওপর সন্তুষ্ট থাকা। আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
এমন অবস্থার অনেক ফজিলত রয়েছে। এমন মনোভাবের প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হবেন এবং নেয়ামতসমূহ বাড়িয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন: গোঁফে লাগা খাবার ও পানি কি হারাম?
আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া আদায় না করা পাপের কাজ। এমন কাজ না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামাতরাজির অস্বীকার করো, তবে জেনে রাখো নিশ্চয় আমার শাস্তির বিধান অবশ্যই কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম ৭)
]]>